তৃণমূল পরিচালিত মালদা জেলা পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে ৩০২ কোটি টাকার বাজেট পেশ হলো।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—তৃণমূল পরিচালিত মালদা জেলা পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে ৩০২ কোটি টাকার বাজেট পেশ হলো। মালদা জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে এই বাজেট বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। যদিও শাসকদলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই বাজেট বৈঠকে বিজেপির বিধায়ক ছাড়া সেই দলের অধিকাংশ নির্বাচিত সদস্যরা হাজির হন নি বলে অভিযোগ। এনিয়েই বিজেপির জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়েই ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। 

এদিনের বাজেট বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক জামিল ফাতেমা জেবা, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন , সহকারি সভাধিপতি চন্দনা সরকার সহ প্রশাসনের কর্তারা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, কর্মাধ্যক্ষ এবং বিধায়কেরাও।

এদিনের বাজেট বৈঠকে রাস্তাশ্রী প্রকল্পে বেশি করে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলা পরিষদের বাজেট বৈঠকে ২০২৩ – ২৪ অর্থবর্ষে ৩০২ কোটি টাকা বাজেট খাতে পেশ করা হয়েছে। যদিও গতবছরের থেকে এবছর বাজেটে কিছুটা অর্থের পরিমাণ কম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে গত বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪  অর্থ বর্ষের বাজেটের টাকার অংক কাছে পিঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন।

এদিকে বিজেপির নির্বাচিত জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে হবিবপুরের দলীয় বিধায়ক জুয়েল মুর্মু জানিয়েছেন, বিজেপির এলাকা গুলিতে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে করা হচ্ছে না। ফলে অনেকেই অভিমান বসত এদিন বাজে বৈঠকে উপস্থিত হন নি।

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, বিজেপির বিধায়কের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । আমরা সব থেকে বেশি পুরাতন মালদা, হবিবপুর, গাজোল, বামনগোলা যেখানে বিজেপির জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, বিধায়ক রয়েছেন সেখানেই উন্নয়নের কাজে জোর দিয়েছি। আসলে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেই এমন কথা বলছেন।

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন আরো বলেন, গত বছর ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষে ৩৬৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছিল । এখন পর্যন্ত ১৯০ কোটি টাকা আমরা পেয়েছি। যদিও মার্চ মাস বাকি আছে। আশা করি তার আগেই বাকি অর্থ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ হবে। তবে সেন্ট্রালের কিছু স্কিমের কাজের টাকা এখনো মেলেনি। এদিন ৩০২ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। যাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য রাস্তার ওপর উন্নয়ন মূলক কাজে বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *