নোনা জলে চাষে বাগদা চিংড়ি ও মিষ্টি জলের পুকুরে হারিয়ে যাওয়া জীওল মাছের চারা বিতরন।।।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক এলাকার মিষ্টি ও নোনাজলের খামার গুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করছেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক। ব্লক মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মাছ ও চিংড়ি চাষিদের তালিকা করে সংগঠিত ভাবে দল গঠন করে বিজ্ঞানসম্মত মাছ চাষের সচেতনতা দেওয়া হচ্ছে। মিষ্টি জল ও নোনাজল উভয় চাষের ক্ষেত্রে মাছ চাষিদের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়াসী মৎস্য বিভাগ। নোনাজলে মাছ চাষে ভেনামীর চাষে বাগদা হারিয়ে যেতে বসেছে। আবার মিষ্টি জলের পুকুর ডোবায় জীওল মাছ শিঙ্গি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যবিভাগে বাগদা ও জীওল মাছ শিঙ্গি বিনামূল্যে বিতরন করা হল। পাঁচ জন বাগদা চাষি ও কুড়ি জন জীওল মাছের চাষিদের মধ্যে বিতরন করা হয়। ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ সকালে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য বিভাগের কার্যালয়ে উপস্থিত চাষিদের মাছ ও চিংড়ি চাষের বিষয়ে এবং কিভাবে মাছ চিংড়ি পুকুরে ছাড়তে হবে তা বিষদে আলোচনা করেন ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মুক্তিরানী মাইতি, কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি সহ বিশিষ্টজনেরা। জীওল মাছ চাষি মাধবপুর গ্রামের তুলসি চরন দাস, নাকচিরাচর গ্রামের পশুপতি বর্মন প্রভৃতিরা বলেন, ব্লকের মৎস্য আধিকারিক আমাদের পুকুর গুলি পরিদর্শন করেছিলেন তার সাথে আমাদের জীওল মাছ চাষে প্রশিক্ষনও দিলেন। জীওল মাছ চাষি মোসারোফ হোসেন, সেখ মান্নান প্রভৃতরা শিঙ্গি মাছ পাওয়ায় খুব খুশি । একি সাথে এদিন বাগদা চিংড়ির মীনও বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এদিকে বাগদা চাষি স্বদেশ রঞ্জন গিরি বলেন, আমরা ভেনামী চিংড়ির চাষ করি, গত বছর বেশ লোকশান হয়েছে, এবার বাগদা মীন পেয়ে খুশি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, আমরা মাছ ও চিংড়ি এর চারা বিরতন করে মাছ চাষিদের উৎসাহিত করছি, একদিকে যেমন হারিয়ে যাওয়া জিওল মাছের চাষ তেমন নোনাজলে বাগদা চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমিতা সেনগুপ্ত মাছ –চিংড়ি চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *