নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর:- ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সময়মতো স্কুলে আসেন না, ফলে মিড ডে মিলের রান্নাতেও হয় দেরী। অভিভাবকদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকা সাড়ে বারোটা, একটার আগে কোনদিনও স্কুলে পৌঁছান না। এদিকে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা মাত্র ১২ জন। বর্তমানে মোট শিক্ষাক – শিক্ষিকা তিন জন। বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের অমৃতখন্ড কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকা দেরিতে আশায় ছাত্রছাত্রীদের বসে থাকতে হয়, ঠিকমতো পঠন পাঠন হয় না।
এদিন সাড়ে ১১ টা নাগাদ স্কুলে গিয়ে দেখা গেল মাত্র ৬ জন ছাত্র উপস্থিত হয়েছে। স্কুলের সহ-শিক্ষিকা স্বীকার করে নেন আর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দেরিতে আসার ঘটনা।
সাড়ে বারোটা নাগাদ আর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মাধবী সাহা কে বালুরঘাটের আর্য সমিতি পাড়ায় তার বাড়িতেই পাওয়া গেল। অর্থাৎ দুপুর সাড়ে বারোটায় তিনি স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দিচ্ছেন। দেরিতে রওনা দেয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান তিনি অসুস্থ। তিনি বলেন, দিনকুড়ি আগে তার পা ভেঙে যাওয়ায় তিনি ছুটিতে ছিলেন। বর্তমানে যার ছুটি শেষ হয়ে গেলেও, এখনো অসুস্থ রয়েছেন তিনি। যদিও গ্রামবাসীদের তরফে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এখন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অনিয়মিত সময়ে স্কুলে আসেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানান, ঐ স্কুলের বিষয়টি তার নজরে রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ বলে তিনিও জানেন। সে কারণেই একজন অতিরিক্ত শিক্ষককে ডেপুটেশন ভিত্তিতে ওই স্কুলে পাঠানো হয়েছে, যাতে পঠন পাঠনে সমস্যা না হয়।
Leave a Reply