জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পাণীয় জল সহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত জলপাইগুড়ি পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর আপার ভাটাখানা। ৯০ টি পরিবারের জন্য ১ টি মাত্র পানীয় জলের কল। তাও আবার ঘোলা জল
থাকায় কলের মুখে কাপড় বেঁধে জল সংগ্রহ করতে হয়। সকাল থেকে জলের কলে লম্বা লাইন পড়ে যায় এলাকাবাসীর ।প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকার রাস্তা ঘাট ভগ্নদশা অবস্থা । এলাকার বাসিন্দা গীতা সরকার বলেন, ভোট আসে ভোট যায়। প্রতিশ্রুতিই সার । এই এলাকার আমরা প্রতিটা পরিবারই জলের সমস্যা ভোগ করি। বিশেষ করে আমরা মহিলারা সংসারে অন্যান্য কাজের চাপের মধ্যেও পানীয় জলের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে জল সংগ্রহ করতে হয়। আর এক বাসিন্দা
ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন,দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই এলাজার রাস্তা ঘাট খারাপ, রাস্তার কংকালসার অবস্থা। এই এলাকার কথা শুনলে টোটো,রিকসা যানবাহন সহ কোন কিছুই আসতে চায় না। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বিডিও অফিস মোড়ে গিয়ে শহরের যাওয়ার জন্য টোটো ধরতে হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা সবে শেষ হল। কিন্তু কয়েকদিনে পরেই আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু । পরীক্ষার্থীরা কিভাবে যাতায়াত করবে তা চিন্তার বিষয়। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মন্ডল, মানিক বিশ্বাস বলেন , এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জল। একটি মাত্র জলের কল। অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েও জল পান না। বাধ্য হয়ে অন্য পাড়ায় যেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খানা খন্দে ভরে গিয়েছে ।সাধারণ মানুষ পথ চলতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ছে । ড্রেন না থাকায় বাড়ির ব্যাবহৃত নোংরা জল রাস্তার উপর গরাগড়ি খাচ্ছে। কোথাও পথ বাতি জ্বলছে তো, কোথাও আবার অন্ধকারে ডুবে আছে এলাকা । আমরা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এতদাঞ্চলের দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হোক । এবিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহুয়া দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এস জি ডি -এর উদ্যোগে ইতিমধ্যেই আপার ভাটাখানা এলাকার ঊৎসস্থল থেকে ১৫০০/ মিটার রাস্তার কাজ বরাদ্ধ করা হয়েছে।নবান্ন থেকে পুর সভায় টাকা চলে এলেই কাজ শুরু হবে। আর বিনা পয়সায় পানীয় জলের পাইপ বসানো হয়েছে ওই এলাকায়। বাড়ি বাড়ি আম্রুত প্রকল্পের পানীয় জল পৌঁছে যাবে। যার দরুন আর নতুন করে ওই এলাকার রাস্তার ধারে জলের কল বসানো হচ্ছে না। আম্রুত প্রকল্পের জল চালু হলে সবার জলের সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি ।
পাণীয় জল সহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত জলপাইগুড়ি পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর আপার ভাটাখানা।

Leave a Reply