আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড সংযোগের নামে ১০০০ টাকা করে নিয়ে যাচ্ছে মোদির সরকার : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- লক্ষ্মীর ভান্ডারে একদিকে আমাদের সরকার যখন এক হাজার টাকা করে দিচ্ছেন মহিলাদের, ঠিক তখন আধারের সঙ্গে প্যান কার্ড সংযোগের নামে ১০০০ টাকা করে নিয়ে যাচ্ছে মোদির সরকার। পথশ্রী রাস্তাশ্রীর কাজে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এই কাজে ১০ পয়সার অবদান নেই কেন্দ্রীর সরকারের। নব জোয়ার নামক জন সংযোগ কর্মসূচিতে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এসে কেন্দ্রের বঞ্চনা ও ভূমিকার প্রতিবাদে মানুষকে ঐক্যবন্ধ হওয়ার ডাক দেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উত্তরদিনাজপুর জেলার ইটাহার থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসেন তিনি। এজেলার কুশমন্ডি ব্লকে আসেন তিনি। এলাকার বিখ্যাত মুখা বা মুখোশ পরে অভিষেককে ঘিরে আগমণ ও স্বাগত অনুষ্ঠান চলে। এরপরে হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হয় জনসভা। এরপরেই বালুরঘাট ব্লকের খাঁ পুরে তেভাগা আন্দোলনের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও পরিদর্শন কর্মসূচি সামিল হন তিনি। সেখান থেকে পাশ্ববর্তী পতিরাম চৌরঙ্গীরতে আরেকটি সভা করেন অভিষেক। সন্ধ্যায়, তিনি তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকসাতিহারে একটি চা চক্রে( গ্রামীন মানুষের সঙ্গে সংযোগ) সামিল হন। ডণ্ডি কান্ডের সেই তিন আদিবাসী মহিলার গ্রামের ঠিক পাশেই এই কর্মসূচি বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে মানুষের মধ্যে। পরে তিনি গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে অধিবেশনে সামিল হন।
জনসভা থেকে অভিষেক কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূল যা বলে তা করে। তিনি তৃণমূলকে ডিভিডির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ডিভিডি ক্যাসেন যন্ত্রে ঢোকালে ছবিও দেখা যায় কথাও শোনা যায়। কিন্ত বিজেপি ভাঙা টেপ রেকর্ডার। ক্যাসেট ঢোকালে কথা শোনা যায় ছবি বা কাজ দেখা যায়না। এরপরেই তার আক্রমণ সবালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি বলেন, সাতদিন ধরে বাইরে রয়েছে দলের কাজে। দুমাস ধরে তার এই কর্মসূচি চলবে। কিন্ত এজেলার ৬ টি বিধানসভার ছয় রাত কাটানোর ক্ষমতা নেই সুকান্ত বাবুর। এরপরেই তিনি কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, কালো টাকা ধ্বংস হয়েছে বলে নরেন্দ্র মোদিজী যতই দাবি করুক, এখন তা ধ্বংস হয়নি। গত একবছরে ৩২ হাজার কোটি কালো টাকা জমা হয়েছে সুইস ব্যাঙ্কে। সেই টাকা এদেশ থেকে লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে মোদিজীর বন্ধুরা। পাশাপাশি, এদিন পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস সহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে দায় করেন অভিষেক। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ প্রকল্প গুলিকে তুলে ধরেন তিনি। যেভাবেই হোক আবাস, যোজনা, একশো দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে আনবেন বলে মানুষকে আশ্বস্ত করেন। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে হঠাতে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। এদিকে হরিরামপুরের জনসভা থেকে প্রথমে ব্যালট পেপার বিলিতে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিলেও তা পরে মিটে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *