২২ গজে ‘চক্ দে’, জঙ্গলমহলের অলরাউন্ড পল্লবীর এখন স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব।

বাঁকুড়া, আবদুল হাই:- বনতিল্লা গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে খাতড়া মফস্বল শহর তারপর সেখান থেকে বাস ধরে সোজা বাঁকুড়া শহর। এটাই রোজনামচা প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের বাসিন্দা পল্লবী মাহাতোর। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ থাকলেও,মেয়েদের সাথে ক্রিকেট খেলার সুযোগ ছিলই না। তাতেও কিন্তু তার স্বপ্ন অধরা থাকেনি।তার অদম্য জেদ এবং ইচ্ছে শক্তি জীবনে সাফল্যের পথে অগ্রসর করেছে।

ইচ্ছে থাকলেও নিজের এলাকায় মেয়েদের সাথে ক্রিকেট খেলার সুযোগ না থাকায় মাধ্যমিক পাস করার পর পল্লবীর সাথে যোগাযোগ হয় খাতড়া মহকুমা ক্রিকেট সংস্থার। পরে বাঁকুড়া শহরের ‘দ্রোণাচার্য স্কুল অফ ক্রিকেট’ এর সাথে যুক্ত হয় সে।সেখানেই চলছে তার সংগ্রাম।

প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের মেয়ে হওয়ায় যাওয়া আসা মিলে ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তাঁকে ক্রিকেট কোচিং নিতে যেতে হয় বাঁকুড়া হয়ে।তার এই পরিশ্রমই সাফল্য এনেছে তার জীবনে ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সাথে সাথে ‘সি এ বি’ লিগ,’বেঙ্গল বাইজুস চ্যাম্পিয়নশিপ’ সহ অনেক রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতাতে সে অংশগ্রহণ করেছে। এখন পল্লবীর স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। তার কোচ সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান ‘বাঁকুড়া জেলার ছেলেমেয়েদের মধ্যে ট্যালেন্টের কোন অভাব নেই আছে সুযোগের অভাব,তার ধারণা পল্লবী একদিন জাতীয় স্তরে খেলবে’।বছর ২৫ এর পল্লবী মাহাতো জানান পরবর্তীতে তার ইচ্ছে জাতীয় দলের হয়ে খেলা, তার এই এগিয়ে আসার পথে তার বাড়ির লোক, কোচ সবাই কার ভূমিকায় অনস্বীকার্য বলেই সে জানায়।

প্রান্তিক কৃষক পরিবারের মেয়ে পল্লবীর স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব। সে যেন তার অদম্য জেদ আর ইচ্ছে শক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে সাফল্য পাওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *