আকাশ জানে একলা থাকার কষ্ট : লাজু চৌধুরী।।।

চলো দূরে কোথাও হারিয়ে যাই
দীঘল নদীর জলে ডুবে ডুবে
জীবনের স্বাদ খুঁজি।
ও ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
তুমি সমুদ্র ভালোবাসো চলো সমুদ্রের কাছাকাছি যাই
সমুদ্রের গর্জন শুনতে তোমার ভালো লাগবে।
রাত জেগে পাশাপাশি বসে থাকবো সমুদ্রের ধারে –
মাঝে মাঝে খুব রাগ হয় তোমার এই নীরবতায়।

“আমার যে ভালো লাগছেনা তা প্রকাশ করেছি বিন্দু মাত্র।
আর নীরবতার কথা বলছো —
প্রকৃতি সে তো আমায় টানছে।
এসো পাহাড়ি ঝর্ণা দেখবো আমরা দুজনেই স্নাণ করবো
তুমি ও ভাবে তাকাবে না ।
আমি মোমের মত গলে গলে যাচ্ছি।
তোমার ঐ চোখে কি আছে?”

এবার আমার হাতটা ধরো আমরা কিন্তু পাহাড়ি ঝর্ণার
কাছাকাছি।
এসো আমরা স্নণ করবো অনেক দিনের অপেক্ষা
খুব লজ্জা করছে তোমার এখানে কেউ নেই।
শুধু তুমি আর আমি।
তোমার হাঁটু ছেড়ে যাওয়া লম্বা বেনুণী খুলে ফেলো।
খুব সুন্দর লাগছে তোমাকে।
এ ভাবে কখনও দেখিনি তোমাকে।
তুমি এই অরণ্যের রাজ কন্যা —

“আর তুমি মেঘনাথ “
হঠাৎ আচমকা ট্রেনের হুইসালের শব্দের মত কেপে ওঠে অরণ্য।
“খুব হাসছো তাইনা “
তোমার হাসির শব্দে প্রকৃতি নানা রুপ ধারন করছে।

“আমার হাতটা শক্ত করে ধর পাহাড়ের গাঁয়ে সন্ধ্যা
নেমে এসেছে।
তুমি আর আমি আকাশের শরীর ছুঁয়ে এসেছি “
বুঝেছি তোমার হাত শক্ত করে ধরতে হবে।

“আমি তো আগেই বলেছি তোমার হাত ধরে পৃথিবীর
পথে হাঁটবো।

রেখেছিলো সেদিন ও আমার হাতে হাত
অনাবিল আনন্দ ভালোবাসার স্পর্শ এখোনো সারা
শরীর ছুঁয়ে আছে।

আমি আজ তোমার শহরে
তোমাকেই খুঁজছি —
রোদহীন শহর শেওলা পড়া পিজঢালা পথ এক পশলা
বৃষ্টি।
তারপরেও এ শহরে অসুখ ধরেছে।
এই যান্ত্রিক শহরে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
পায়ে পায়ে জনতার ভিড়ে হাড়িয়ে যাই ব্যস্ততার চাপে।
কাশবনের আপন আলোয়ে দূরে কোথাও হারিয়ে
যেতে মন চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *