কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রত্যাশিতভাবেই কোচবিহার জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল কংগ্রেস। সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচিত হন কোচবিহার জেলা পরিষদের ১৫ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের প্রার্থী সুমিতা বর্মন এবং সহ-সভাধিপতি হিসাবে নির্বাচিত কোচবিহার জেলা পরিষদের ১৭ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুল জলিল আহমেদ। এদিন জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন নিয়ে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো।
জানা গেছে, কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসন দখল করেন তৃণমূল কংগ্রেস। দুটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। আজ কোচবিহার জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি নির্বাচিত হয়। নতুন প্রজন্মকে সামনে আনতে এবার কোচবিহার জেলা পরিষদে সভাধিপতি হিসেবে নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। প্রথমবার জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে জয়নবের পরেই তাকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয়েছে। আগামী দিনে পানীয় জল, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সহ কোচবিহারবাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করার আশ্বাস দেন জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সভাধিপতি সুমিতা বর্মন। সুমিতা বর্মন কোচবিহার ১-র এ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতির্ময় দাসের স্ত্রী। জেলার রাজনীতিতে প্রথম সারির নেত্রী না হলেও মহিলা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুমিতা। পাশাপাশি জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।
এদিন এবিষয়ে নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন জানান, আমি এবার প্রথম জেলা পরিষদে দাড়িয়েছি। জয়ীও হয়েছি। কিন্তু কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি হবো এটা ভাবি নি। আমার এই জয় কোচবিহার জেলাবাসীর জয়, এই জয় তৃণমূলের জয়। আমি জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়ে প্রথম কাজ করবো জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থা করবো এবং গ্রামের যে এলাকা গুলোতে রাস্তা ঘাট বেহাল সেগুলো সংস্কার ও নতুন করে রাস্তা করবো। জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়ে আজ খুব আনন্দ লাগছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply