আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বর্ষাকালে আপেল কুলের চাষ করে তাক লাগালে একজন শিক্ষক। অসময়ে কিভাবে কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ করা যায়।সেই সম্পর্কে জানালেন রাজগ্রাম এস বি রাহা ইনস্টিটিউশনের জীব বিদ্যা শিক্ষক দেবীপ্রসাদ পাত্র। তিনি বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার রাজগ্রামে থাকেন। তিনি জানান গত ‘বছর এই আপেল কুলের গাছটি স্থানীয় নার্সারি থেকে নিয়ে আসেন। গত শীতে এই গাছ থেকে তিনি কিছু ফল পান। শীতের পর তিনি এই গাছটি একটি পলিথিনের বস্তায় প্রতিস্থাপন করেন। এ বছর এপ্রিল মে মাস নাগাদ এই গাছে প্রচুর ফুল আসে। এরপর এই ফুলগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ফলে পরিণত করার জন্য তিনি বেশ কিছু ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেন। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে ফুলগুলোকে রক্ষা করার জন্য গ্রীন নেট ব্যবহার করেন। গাছের মাটি যাতে গরম না হয় তার জন্য বস্তার চারদিকে পলিথিনের মালচিং পেপার দিয়ে মুড়ে দেন। সময় মতো গাছে জৈব সার তার সঙ্গে ফলগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের জৈব কীটনাশক বোরন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি মৌল সময় সময় স্প্র করেন। আজ তার গাছ আপেল কুলে ভরে গেছে ফুলের ভারে গাছের ডাল নিয়ে পড়েছে। কুলের সাইজ যথেষ্ট বড়ো।কিছুদিনের মধ্যেই কুলগুলি খাবার উপযুক্ত হয়ে যাবে। বর্ষাকালে এভাবে এত পরিমাণ আপেল কুল ফলানো যায় দেখে আমরা অবাক হয়ে গেছি। কথায় বলে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব তা আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন রাজগ্রাম এস বি রাহা ইনস্টিটিউশনের জীব বিদ্যার শিক্ষক দেবীপ্রসাদ পাত্র।
অসময়ে কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ।

Leave a Reply