বাঁকুড়া জেলার দামোদরপুরে অবস্থিত পরশমণিতে সাতটি কাটিমন আমের গাছ বসিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ ভাবুন তো একবার যদি সারা বছর পাকা আম খেতে পারতেন তাহলে কেমন হত? বাঙালিদের রয়েছে আমের প্রতি দুর্বলতা। সারা বছর গ্রীষ্মের প্রভাব থাকলে ও মাত্র দুই থেকে আড়াই মাস পাওয়া যায় পাকা সুমিষ্ট আম। আবার শুরু হয় অপেক্ষা, পরের বছরের জন্যে। তবে আর চিন্তা নয় যদি আপনার মন চায় পাকা আম খাওয়ার জন্য তাহলে আপনার বাড়ির উঠানের ছোট্ট জায়গাটাতে বসাতেই পারেন কাটিমন আম গাছের চারা। কাটিমন আম সারা বছর আমের ফলন দেবে।

বাঁকুড়া জেলার দামোদরপুরে অবস্থিত পরশমণিতে সাতটি কাটিমন আমের গাছ বসিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই আমের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেখা গেছে আমের ফলন। ছোট দেখতে এই গাছে প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলো আম ধরে। সবথেকে বড় ব্যাপার কাঁচা তেও সুমিষ্ট পাকাতেও সুমিষ্ট এই আম। একদম তন্তু বিহীন শ্বাসে পরিপূর্ণ ছোট আঁটির এই আম মন কেড়েছে বহু মানুষের।এক একটি আমের সাইজ 200 গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। বেশ কয়েক বছর আগে আম মানে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের নাম সবার আগে আসত কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আমের ফলনের রাজা জেলা বাঁকুড়া। বাঁকুড়ার আম যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। তাই পরশমনির লক্ষ্য এই নতুন ধরনের সারা বছরের আম যাতে ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে।

পরশমনির ডিরেক্টর অনুপম সেন জানান “এই কাটিমন আম চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পারেন কৃষকরা। সারা বছর ফলে এই আম এবং সেই কারণেই ঋতুকালীন ফল হিসেবে বিক্রি হয়না কাটিমন ফলেই বাজার মূল্য যথেষ্ট ভালো রাখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *