উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে থিমের মন্ডপ উপহার দিতে রাত দিন এক করে কাজ করে চলেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীর কর্মীরা।

পূর্ব মেদিনীপুর-তমলুক, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- – বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সুন্দর সুন্দর থিমের মন্ডপ উপহার দিতে রাত দিন এক করে কাজ করে চলেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যার কর্মচারীরা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১০ টি ওয়ার্কশপ মন্ডপ তৈরি কাজ চলছে। ২০০০ সালে রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামে হাত থেকে মন্ডপ সজ্জার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ব্যবত্তাহাট এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ কুইল্যা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর তৈরি মন্ডপ মানুষের মন কাড়ে। এবছর তিনি মোট ১০ টি থিমের মন্ডপের অর্ডার পেয়েছেন। যার মধ্যে কলকাতার ত্রিধারা, সুরুচি সংঘ যেমন আছে তেমনি উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা ও শিলিগুড়িতেও থাকছে থিমের মন্ডপ। বাংলার অন্যতম পটচিত্র মন্ডপে ফুটিয়ে তোলার জন্য কলকাতা আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলী সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পী ও কর্মীদের নিয়ে শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে জোর কদমে। কাজের সাথে প্রায় ২৫০ জন ছেলে মেয়ে যুক্ত রয়েছেন। এই কাজের সাথে যুক্ত থেকে এলাকার ছেলে মেয়েরা মাসে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করে চলেছে। তাদের তৈরি মন্ডপ দেখতে যখন লাখো লাখো মানুষ ভীড় জমান তখন শিল্পী থেকে কর্মীদের ভীষণ ভালো লাগে বলে জানাচ্ছেন তারা। এক সময় পুজো প্যান্ডেল মানে ছিল বাঁশ ও রঙিন কাপড়ের তৈরি। ধীরে ধীরে সেই বাঁশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে থার্মোকল, চট, প্লাস্টিক, কাঠ, পাট প্লাস্টার অফ প্যারিস, সিমেন্ট আরও কত রকমারি সামগ্রী। কলকাতার হেভিওয়েট পুজো প্যান্ডেল গুলোর পাশাপাশি, ছোট খাটো প্যান্ডেলেও থাকে থিমের নয়া চমক৷ যত দিন যাচ্ছে বেড়ে চলেছে খুঁটি পুজোর চাকচিক্য। আগের পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধনে দেখা যেত তারকা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খুঁটি পুজোর দিন থেকে বিভিন্ন তাবড় পুজো প্যান্ডেল গুলিতে বসে আমন্ত্রিত তারকাদের হাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *