চিকিৎসা করাতে গিয়ে নার্সিংহোমের মালিক ও ম্যানেজারের মার খেয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও রোগীর আত্মীয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ চিকিৎসা করাতে গিয়ে নার্সিংহোমের মালিক ও ম্যানেজারের মার খেয়ে গুরুতর জখম হলেন রোগী ও রোগীর এক আত্মীয়। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে। ঘটনায় আহতরা কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়ে নার্সিংহোমের মালিক ও ম্যানেজারের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

আগে একাধিকবার রোগীর পরিজনদের সাথে ঝামেলা ও রোগীর পরিজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ফের সেই একই ধরনের অভিযোগ উঠল ওই বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানা গেছে কোতুলপুর ব্লকের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল মল্লিকের আত্মীয় তনুজা বিবি অসুস্থ থাকায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান কোতুলপুর ব্লকের সরিষাদিঘি এলাকায় থাকা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল নামের ওই বেসরকারী নার্সিংহোমে। নির্দিষ্ট একজন চিকিৎসককে দেখানোর জন্য বৃহস্পতিবার নার্সিংহোমে ৩০০ টাকা দিয়ে টোকেন কাটেন। নার্সিংহোমের তরফে বলা হয় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় চিকিৎসক রোগীকে দেখবেন। এরপর থেকে সময় বদলাতে থাকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাতে রোগীকে দেখার কথা থাকলেও পরে তা শুক্রবার সকাল ১০ টায় সময় ধার্য হয়। এরপর সময় বদলে দুপুর ২ টা ও আরো পরে বিকেল ৪ টাতে রোগী দেখার কথার জানানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয় নির্দিষ্ট ওই চিকিৎসক অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা করে চলে গেছেন। এই অবস্থায় রোগীর পরিজনেরা চাইলে অন্য চিকিৎসক দেখাতে পারেন নতুবা দেওয়া টাকা ফেরৎ নিতে পারেন। অসুস্থ রোগী কষ্টে ছটফট করতে থাকার পরও নার্সিংহোমের এই ধরনের আচরণে ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা বাগবিতন্ডায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ এই সময় নার্সিংহোমের মালিক ও ম্যানেজার তনুজা বিবির আত্মীয় নজরুল মল্লিককে বেধড়ক মারধর করেন। বাধা দিতে গিয়ে তনুজা বিবিও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। পরে পরিবারের অন্যান্যরা দুজনকেই স্থানীয় কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে আহতদের পরিবার।

নার্সিংহোমের মালিক সৈয়দ আশরফ হোসেন ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তিনি টেলিফোনে জানান এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ যুক্ত নয়। ওই রোগী ও রোগীর পরিজনেরা উল্টোপাল্টা কথা বলায় অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রাই তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *