বাঁকুড়া জেলায় পাওয়া যাচ্ছে “জাম্বো জিলিপি”।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ দেখুন থালার সাইজের জিলিপি। এরকম অতিকায় জিলিপি কোনদিন দেখেছেন? এক একটা জিলিপির ওজন প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি। কে খাবে এত বড় জিলিপি? একমাত্র কুম্ভকর্ণই বোধ হয় খেতে পারবেন এই অতিকায় জিলিপি। বাঁকুড়া জেলায় পাওয়া যাচ্ছে “জাম্বো জিলিপি”। এক থেকে দু কিলো সাইজের একটি ছোট চাকার সমান অতিকায় জিলিপি তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া ১ ব্লকের কেঞ্জাকুড়া গ্রামে। বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া গ্রাম বিখ্যাত মুড়ির মেলার জন্য। কিন্তু আপনি জানেন কি এই গ্রামেই বছরের পর বছর এক বিশেষ সময়ে তৈরি হয় অতিকায় জিলিপি? ভাদ্র সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পূজো এবং ভাদু পুজো উপলক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন তৈরি করা হয় এই জাম্বো জিলিপি। দূর দূরান্ত মানুষ আসেন এই জিলিপি গুলি কিনতে। বাঁকুড়া জেলা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ভিড় জমান জিলিপি প্রেমী মানুষরা।


ছোট ছোট গোল গোল জিলিপি আমরা সবাই খেয়েছি। এই বিশেষ মিষ্টি আমাদের প্রত্যেকেরই দুর্দান্ত লাগে। কিন্তু ভাবুন তো একবার যদি এই দানব জিলিপি আপনাকে দেয়া হয় তাহলে আপনি এটাকে খেয়ে শেষ করতে পারবেন কিনা। একা নয় পরিবারের সাথে ভাগ করে খাওয়ার জন্যই বহু মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই অতিকায় জিলিপি গুলি। তাছাড়া এক দর্শনীয় জিনিসও বটে। বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুরা গ্রামে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ভান্ডারে তৈরি করা হয় এই অতিকায় জিলিপি গুলি। এদের মধ্যে অন্যতম হল দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডার। প্রতিদিন প্রায় ১০০টা করে এই রকম বড় বড় জিলিপি ভাজছেন তারা। প্রতিটা জিলিপি ভাজতে সময় লাগছে প্রায় ১৫ থেকে কুড়ি মিনিট। প্রতি কেজি ১৫০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে জিলিপি গুলি। বিশেষভাবে করা হচ্ছে প্যাকেজিং।

যদি জিলিপি খেতে আর গ্রাম বাংলার উৎসব ভালোবাসেন তাহলে এক্ষুনি চলে আসুন বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরায়। আর মাত্র কয়েকদিন তারপরেই বন্ধ হয়ে যাবে এই অতিকায় জিলিপি গুলি ভাজা। হয়তো আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হবে জাম্বো জিলিপির দর্শন পাওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *