নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো উৎসব। রাজ্যের মধ্যে জগধাত্রী পুজো মানে শুধু চন্দননগর নয়, ঐতিহ্যের ডালি সাজিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো উৎসবকে কেন্দ্র করে আরো এক মনোরম পরিবেশ তৈরি হয় নদীয়ার শান্তিপুরের সুত্রাগড় অঞ্চলে। এখানে বহু প্রাচীন বেশ কয়েকটি পুজো বারোয়ারি রয়েছে, যেখানে সুসজ্জায় সাজানো হয় প্রতিমাকে, এছাড়াও মন্ডপ সজ্জাতেও পিছিয়ে থাকে না। শুধু শান্তিপুর নয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী সূত্রাগড় অঞ্চলের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দর্শন করতে আসে। যদিও শোভাযাত্রাতেও বিভিন্ন আলোকসজ্জা দিয়ে এক অন্য চমক সৃষ্টি করে পুজো বারোয়ারি গুলি, তাই জগদ্ধাত্রী পুজোতে যাতে কোন রকম অসুবিধে না হয় এবং রাস্তাঘাট, ইলেকট্রিক পোল এবং বিভিন্ন কেবিল তার কি পরিস্থিতিতে আছে?তা পরিদর্শনের মধ্যে দিয়ে খতিয়ে দেখলেন শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান, বিধায়ক, অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের আধিকারিক, শান্তিপুর থানার পুলিশ প্রশাসন। ঘুরলেন ওই অঞ্চলের প্রত্যেকটি রাস্তা, এছাড়াও শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে যাতে কোন রকম সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্য নিলেন একাধিক ব্যবস্থা। যদিও প্রশাসক ও প্রশাসনের এই উদ্যোগকে প্রশংসা স্বরূপ দেখছেন ওই অঞ্চলের বসবাসকারীরা। এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, সূত্রাগড় অঞ্চলের প্রাণের উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো, সেই উপলক্ষে আমরা একটা যৌথ পরিদর্শন করলাম, নির্বিঘ্নে শোভাযাত্রা সহ পুজোর কটা দিন সব ঠিকঠাক রেখে যাতে উৎসব পালন হয় সেই কারণে। যদিও বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, সূত্রাগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে একটি আলোচনা করা হয়েছিল, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা পরিদর্শন করছি। যেখানে যা সমস্যা আছে সেটা সমাধান করার চেষ্টাও করছি।
নদীয়ার শান্তিপুর সূত্রাগড় অঞ্চলের প্রাণের উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে বিশেষ পরিদর্শন প্রশাসনের, সাথে ছিলেন বিধায়ক চেয়ারম্যান।

Leave a Reply