নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে দপায় দফায় এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। টাকা চাইতে গেলে হুমকির অভিযোগ পরিবারের যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ওই তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া হাসপাতাল পাড়া এলাকার। জানা যায় গত ছয় মাস আগে হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মালা শর্মার কাছ থেকে তার ছেলেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করে। প্রথমে ৫০ হাজার টাকা নেই ওই মহিলার কাছ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরো ৫০ হাজার টাকা নেই বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার ফুলিয়া টাউনশিপ অঞ্চলের তৃণমূলের আহ্বায়ক। মালা শর্মার দাবি, মোটামুটি তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার শর্ত থাকলেও ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে পারেনি ওই তৃণমূল নেতা। ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন কথা বলে বার বার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় ওই মহিলাকে। শুধু তাই নয় অবশেষে টাকা চাইলে হুমকি দেখানোর অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে এদিন শান্তিপুর থানার দারস্ত হন ওই মহিলা। শান্তিপুর থানায় ওই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও মালা শর্মার তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা সুপ্রভাত সরকার। তিনি বলেন, ওই মহিলা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন তার বিরুদ্ধে। মূলত তিনি বলেন এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা আজ পর্যন্ত নেইনি।
এ বিষয়ে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, তৃণমূলের সব ছোট বড় নেতাদের একই চরিত্র। সবাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আসলে পুলিশের একরকম মদতেই এরা দুর্নীতি করেই চলেছে।। এরা জানে রাজ্য পুলিশ কোন তৃণমূল নেতাকে কিছু করতে পারবে না। আমরা চাই যে নেতা টাকা আত্মসাৎ করেছে তার কঠোরতম শাস্তি হোক।
Leave a Reply