ধনে পাতার চাটনি দিয়ে পাঁচ টাকায় নিরামিষ ঘুগনি।

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:-  আজকাল ৫ টাকার বিনিময়ে কি কি পাওয়া যায় তার তালিকা খুবই ছোট। দিন যত এগোচ্ছে মুদ্রাস্ফীতির কারণে ৫ টাকার মূল্য কমছে। তবে বাঁকুড়ার এক দম্পতি মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে আপনাকে খাওয়াতে পারবেন এক বাটি সুস্বাদু নিরামিষ ঘুগনি, সঙ্গে থাকবে ধনেপাতার চাটনি। বিকেল হলেই ইচ্ছে করে একটু কিছু মুখরোচক খেতে। মুখরোচক খাবার কিনতে গেলেই ন্যূনতম খরচ কুড়ি থেকে পঁচিশ টাকা। সকলের জন্য এই খরচ করা সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি বাঁকুড়া শহরে থাকেন। তাহলে একবার আসতেই পারেন বাঁকুড়া শহরের কুচকুচি আর রোডের উপর অবস্থিত দুর্গা মন্দিরের পাশের এই ছোট্ট চায়ের দোকানে। মাত্র ৫ টাকার বিনিময় পেয়ে যাবেন সুস্বাদু পেট এবং মন ভরা নিরামিষ ঘুগনি, এমনটাই বলছেন ঘুগনি খেতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আরও বলেন যে এই ঘুগনি অন্যান্য জায়গায় ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়।

বিশ্বজিৎ দাস এবং সানন্দা দাস। এই দম্পতি খুলেছেন ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। করোনা বিধির কারণে চাকরি চলে গিয়েছিল বিশ্বজিৎ দাসের। সংসারের হাল ধরতে উদ্যোগী হন তার স্ত্রী সানন্দা দাস। এক প্রকার নিজের উদ্যোগেই খোলেন ছোট্ট চায়ের দোকান। মাত্র তিন টাকার বিনিময় বিক্রি করতেন চা এবং বিস্কুট। তারপর স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহে এবং মাথা খাটিয়ে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে নিরামিষ ঘুগনি বিক্রি করার কথা ভাবেন তিনি। মাত্র কয়েক দিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এই ঘুগনি। ঘুগনিতে নতুন সংযোজন হল ধনেপাতার চাটনি। গরম গরম ঘুগনির সঙ্গে ধনেপাতার ফ্লেভার একঘেয়ে বিকেলগুলোকে রঙিন করে তুলছে।

সবকিছু জোগাড় করা থেকে শুরু করে রান্না করা পর্যন্ত দায়িত্ব সানন্দা দাসের। দোকানে রুটি তরকারিও পাওয়া যায়। বিক্রি করার এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস। নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে এই চায়ের দোকানের মাধ্যমে স্বপ্ন বুনছেন তারা। সবে শীত পড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যে নিম্নচাপের বৃষ্টি। বাঁকুড়া শহরের সহস্র খাবারের এবং চায়ের দোকানের ভিড়ে হয়ত আপনার চোখে পড়েনি এই ছোট চায়ের দোকানটি। কুচকুচি এতে এলে একবার চোখে দেখতেই পারেন মাত্র ৫ টাকার ঘুগনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *