নিজস্ব সংবাদদাতা বাঁকুড়াঃ- আরো একটা ২৫ ডিসেম্বর, আরো একটা বড়দিন। আর এমনই একটা বিশেষ দিনে ‘সর্ষে পায়ে ভ্রমণ প্রিয় বাঙ্গালী’ সকাল থেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বাড়ি থেকে। আর তাদের বড় অংশের অন্যতম ‘ডেস্টিনেশান’ হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ার প্রথম সারীর পর্যটন কেন্দ্র গুলি। জেলার উত্তরের শুশুনিয়া পাহাড় থেকে দক্ষিণের মুকুটমনিপুর, সর্বত্রই সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ভীড় করেছেন। কেউ এসেছেন পিকনিক করতে, তো আবার কেউ কেউ এসেছেন ছুটির দিনে নিখাদ আনন্দ উপভোগ করতে। সব মিলিয়ে বড় দিনে জমজমাট শুশুনিয়া থেকে মুকুটমনিপুর সহ জেলার সর্বত্র।
উৎসবের মেজাজ ‘বাঁকুড়ার রাণী’ মুকুটমনিপুরেও। এখানে জল জঙ্গল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ফি বছর অসংখ্য পর্যটক এখানে ছুটে আসেন। আর বছরের বিশেষ দিন গুলিতে তো কথাই নেই। মানুষের উপস্থিতির সেই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এখানে এসে জলাধারে নৌকাভ্রমণ না করে ফিরে যাবেন- এমন বেরসিক মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবেনা। আর তাই তৈরী নৌচালকরাও। নৌচালকরা নৌ ভ্রমণের জন্য সবসময়ের জন্য প্রস্তুত পর্যটকদের নিয়ে কাঁসাই আর কুমারীর সঙ্গমস্থলের বিশালাকার জলাধারে বুকে নৌভ্রমনের জন্য। প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৯২ টি বাস, ছ’শো-র বেশী ছোটো গাড়ি এখানে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই অনেকে আশা করছেন।
‘বাঁকুড়ার রাণী’ মুকুটমনিপুরে এসে খুশী পর্যটকরাও। মুশাফিরানা, ডিয়ার পার্ক থেকে পরেশনাথ শিব মন্দির, বারোঘুটু পাহাড় ঘুরে সোনাঝুরি ইকো পার্কে খানিক বিশ্রাম করে নিচ্ছেন অনেকে। সবমিলিয়ে বড় দিনের সকাল থেকে আনন্দোৎসবে মেতেছে মুকুটমনিপুর। এখানে এসে খুশী পর্যটকরাও। সময় পেলেই এখানে ছুটে আসেন, এমনই জানিয়েছেন কেউ কেউ।
প্রাত্যহিক কর্মব্যস্ততা আর ইঁট কাঠ পাথরের জঙ্গলের মধ্য থেকে একটু আনন্দ উপভোগের জন্য মানুষ ছুটে আসেন শুশুনিয়া থেকে মুকুটমনিপুরে। আর সেই সব আগত অতিথিদের যাতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এবারও সেকারণেই সব জায়গাতেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সারা বাংলার সঙ্গে ছুটির আনন্দে উৎসবের জোয়ারে গা ভাসাচ্ছেন বাঁকুড়ার মানুষও
Leave a Reply