ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস্‌-এ নাম উঠল ছোট্ট রাইনা সুলতানার।

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- বিস্ময়কর মেধা ও স্মরণশক্তির পরিচয় দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নামের সঙ্গেই যেন বীরভূমের মানচিত্র উজ্জ্বল ক’রে তুললো বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ইসলামপুরের রাইনা সুলতানা। মাত্র ২ বছর ১০ মাস বয়সেই সে অনেক আত্মীয়ের নাম সমেত বিভিন্ন পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, যানবাহন, ফল, শাকসব্জির নাম নির্ভুল বলতে পারে। এই স্মরণশক্তি ও মেধার স্বীকৃতি দিলো ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। রাইনা সুলতানা দুবরাজপুর পৌরসভার ইসলামপুর আশরফিপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস্‌-এর হরিয়ানার ফরিদাবাদের সদর দপ্তরে রাইনা সুলতানার হাতে ট্রফি সহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস্‌-এর ডাইরেক্টর ডক্টর বিশ্বরূপ রায়চৌধুরি। বীরভূম জেলার সর্বকনিষ্ঠ রাইনা সুলতানার নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস্‌-এ উঠল বলে ড. বিশ্বরূপ রায়চৌধুরি জানিয়েছেন। রাইনা সুলতানার বাবা কবিরুল খান অনলাইনের কাজ করেন এবং মা ওয়াহিদা উয়াসমিন গৃহবধূ। রাইনা সুলতানাকে তার ঠাকুমা হালিমা খাতুন বিবি প্রতিদিন ইসলামপুর চমরুচকপাড়া 273 নম্বর নিজের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে যেতেন। সেখানেই তাকে একটু করে পড়াশুনা করাতেন। আর সেখান থেকেই তার এই শিক্ষা। তার বাবা কবিরুল খান জানান, আমরা যখন দেখি মেয়ের মধ্যে এরকম প্রতিভা রয়েছে। তখন আমরা তার প্রতিভাকে মোবাইলে ক্যামেরাবন্দী করি এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস্‌-এর অফিসে পাঠায়। সেখানে রাইনা সুলতানার প্রতিভা দেখে তাঁরা আমাদের ইমেল করে জানান যে আমাদের মেয়ের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস্‌এ উঠেছে। আমরা সেখানে যায় এবং আমার মেয়ের হাতে ট্রফি সহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেন উদ্যোক্তারা। আমার মেয়ের সাফল্যে আমরা গর্বিত। রাইনা সুলতানার মা ওয়াহিদা উয়াসমিন জানান, এত কম বয়সে আমার মেয়ের এই সাফল্যে আমরা সকলেই গর্বিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *