মালদার মানিকচক ব্লকের নুরপুর ব্যারেজের কালিন্দ্রী নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে, মাথায় হাত পড়ছে এলাকার চাষীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ– মালদার মানিকচক ব্লকের নুরপুর ব্যারেজের কালিন্দ্রী নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। মাথায় হাত পড়ছে এলাকার চাষীদের। ভাঙনে আগামী দিনে বিপন্ন হতে পারে রাজ্য সড়ক। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোন হেলদোল নেই ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।মালদার মানিকচক ব্লকের নুরপুর অঞ্চলের অধীনে কালিন্দ্রী নদীর উপর রয়েছে নুরপুর ব্যারেজ। যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত। নুরপুর ব্যারেজের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। বন্যা নিয়ন্ত্রণে এবং এলাকার চাষীদের চাষবাসের সুবিধার্থে দীর্ঘ বহু বছর আগে তৈরি হয়েছে নুরপুর ব্যারেজ। কিন্তু বর্তমানে এই ব্যারেজ এলাকার চাষীদের কাছে সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ব্যারেজের কোন সংস্কার হয়নি। ফলে জল আটকানোর জন্য পাঁচটি লক গেট থাকলেও, দু-তিনটি লক গেট দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে লক গেটের আশপাশে পলি ও বালি জমেছে। যার জেরে কালিন্দী নদী তার আগের স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়েছে। নতুন পথে এঁকেবেঁকে বইছে। যার জেরে নদী ভাঙনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। দিনের পর দিন চাষের জমি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন এলাকার চাষীরা। তাই তারা ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।এদিকে নুরপুর ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় কালিন্দ্রী নদীর এই ভাঙন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা এবং চাপান-উতোর। ঘটনায় মানিকচকের সিপিআইএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহা এবং মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র দুজনেই অভিযোগ করে বলেন, নুরপুর ব্যারেজ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রয়েছে। তাই নুরপুর ব্যারেজের কারণে নদী ভাঙন সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তবে মানিকচকের বিজেপি নেতা গৌড়চন্দ্র মন্ডলের বক্তব্য, নুরপুর ব্যারেজ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ব্যারেজ রক্ষণাবেক্ষণ করছে। ব্যারেজের পর ‘আশপাশে কোথাও ভাঙন হলে তা দেখার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। তাই এই সমস্যা
সমাধানে রাজ্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *