পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মাঝে মাত্র আর কয়েক দিন। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ সরস্বতী পুজো। প্রতিমা শিল্পীদের কাছে প্রতিমা তৈরির বরাত এসেছে ভাল। কিন্তু তবুও মলিন মুখ প্রতিমা শিল্পীদের। মাঝে মাত্র আর ৬ দিন তারপরেই সরস্বতী পুজোয় মেতে উঠবে ভারতবাসী। ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাগ দেবীর আরাধনা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব ও বাড়িতে বাড়িতে বাগদেবীর আরাধনায় প্রতিমা তৈরির বরাত এসেছে ভাল। কিন্তু মুখে হাসি উড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহিষাদল নন্দকুমার সহ বিভিন্ন প্রান্তে কুমোর পাড়ায় সরস্বতী প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা। কোথাও চলছে প্রতিমার রঙের কাজ। আবার কোথাও দেওয়া হচ্ছে মাটির প্রলেপ। কিন্তু জোড়া জুড়ে প্রতিমা শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়লেও তাদের মুখের হাসি উড়েছে। এই হাসি উড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বছরের পর বছর প্রতিমা তৈরি সরঞ্জামের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। প্রতিমা তৈরির উপকরণ হিসেবে বাঁশ, খড়, দড়ি, কাপড়, রং ও চুল সবকিছুরই দাম আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। আর তাতেই লভ্যাংশ কমেছে প্রতিমা শিল্পীদের।
এই বিষয়ে তমলুকের এক প্রতিমা শিল্পী জানান, “বিগত দু-তিন বছর প্রতিমা তৈরির খরচ অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রতিমা তৈরির উপকরণের খরচ। ফলে আগের তুলনায় লভ্যাংশের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। প্রতিমা তৈরির বরাত আগের তুলনায় বাড়লেও লভ্যাংশ কম হওয়ায় লসের মুখ দেখতে হচ্ছে। প্রতিমা তৈরির খরচ বাদ দিয়ে পারিশ্রমিকটাই উঠে আসে না। ফলে আগের তুলনায় বরাত এবছর কম নিয়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।”
প্রতিবছর সরস্বতী পুজোর আগে প্রতিমা তৈরির ধুম লাগে কুমোর পাড়ার পাড়ায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। মাঝে মাত্র আর কয়েকদিন প্রতিমা শিল্পীদের চরম ব্যস্ততা সময়ের আগে প্রতিমার কাজ শেষ করার। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে লভ্যাংশ কম হওয়ায় কার্যত মলিন মুখে প্রতিমা তৈরিতে মগ্ন শিল্পীরা।
প্রতিমা শিল্পীদের কাছে প্রতিমা তৈরির বরাত এসেছে ভালই, তবুও মলিন মুখ প্রতিমা শিল্পীদের।

Leave a Reply