স্মরণে গায়ক, সৃজনশীল শিল্পী এবং গীতিকারপ্রতুল মুখোপাধ্যায়।।

প্রতুল মুখোপাধ্যায় ২৫ জুন ১৯৪২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি গায়ক, সৃজনশীল শিল্পী এবং গীতিকার। তিনি – আমি বাংলায় গান গাই এবং ডিঙা ভাসাও সাগরে নামের দুটি বিখ্যাত বাংলা গানের গায়ক।তিনি গোঁসাইবাগানের ভূত চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠ দেন।তিনি মনে করেন, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সাথে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবলমাত্র তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।

প্রতুল মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও মা বাণী মুখোপাধ্যায় ছিলেন গৃহিণী। দেশবিভাগের সময় তিনি পরিবারের সাথে ভারত চলে যান। সেখানে শৈশব কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়।
ছোটবেলা থেকেই তিনি নিজের লেখা ও সুরে গান গাইতেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতায় প্রথম সুরারোপ করেন। নিজের লেখা গানের পাশাপাশি ছড়া, কবিতায়ও তিনি বিভিন্ন সময় সুরারোপ করেছেন।

অ্যালবামসমূহ—

পাথরে পাথরে নাচে আগুন (১৯৮৮) অন্যান্য শিল্পীর সাথে,, যেতে হবে (১৯৯৪), ওঠো হে (১৯৯৪), কুট্টুস কাট্টুস (১৯৯৭), স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (২০০০) অন্যান্য শিল্পীর সাথে, তোমাকে দেখেছিলাম (২০০০), স্বপনপুরে (২০০২), অনেক নতুন বন্ধু হোক (২০০৪) অন্যান্য শিল্পীর সাথে,, হযবরল, সুকুমার রায়ের (২০০৪) আবৃত্তি ও পাঠ্য পাঠ, দুই কানুর উপাখ্যান (২০০৫) আবৃত্তি ও পাঠ্য পাঠ, অন্যান্য শিল্পীর সাথে,, আঁধার নামে (২০০৭) যোজিত,, অসীমে উধাও হলো (২০০৯) অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে,, আমি বাংলায় গান গাই (২০১৭),, আপন সুরে ভাষার গান (২০২০) অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে,, ভোর – অপ্রকাশিত গান (২০২২)।।

বইসমূহ–

প্রতুল মুখোপাধ্যাযয়ের নির্বাচিত গান, শক্তি-রাজনীতি।

অবশেষে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পিজি তথা এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মত্যু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে ৮২ বছর বয়সে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *