সড়ককে মুক্ত করতে অভিযান শুরু করল বালুরঘাট ট্রাফিক পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট:-  জাতীয় সড়ক-এর দুপাশ দখল করে দিনের পর দিন ফেলে রাখা হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী। এমনকি এই জাতীয় সড়কেই শুকনো হচ্ছে ধান। ফলে বাড়ছে জাতীয় সড়ক দূর্ঘটনা। অবশেষে এই সড়ককে মুক্ত করতে অভিযান শুরু করল বালুরঘাট ট্রাফিক পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে নির্মাণ সামগ্রী তোলানো হল নিয়মভঙ্গকারীদের। নিয়মিত এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ট্রাফিকের। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ট্রাফিকের তরফে।
গাজোল থেকে সীমান্তবর্তী হিলি পর্যন্ত রয়েছে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই সড়কের অধিকাংশই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে পরেছে। টু-লেন এর এই সড়কটি এখন মরণফাঁদ। কেননা, এই সড়কের উপর দুই পাশে দিনের পর দিন মজুত থাকছে ইট, বালি, পাথর ইত্যাদি নির্মাণ সামগ্রী। প্রমোটারদের দৌরাত্ম তো বটেই, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে একশ্রেনীর মানুষ সডকের উপরেই এগুলি মজুত করছে বলে অভিযোগ। আবার এই সডকের উপর মশারী পেতে ইট চাপা দিয়ে ধান শুকোনো চলে। বছর চারেক আগে এজেলার তপন থানার অন্তর্গত করদহতে তৎকালীন বিডিও-র গাড়ি দূর্ঘটনার কবলে পরেছিল। গুরুতর আহত বিডিও মারা যান এই পথ দূর্ঘটনায়। এরপরেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বত্র মাইকিং করা হয়। জাতীয় সড়কের পাশাপাশি কোনো রাস্তাতেই ধান শুকোনো, নির্মাণ বা অন্য কোনো সামগ্রী রাখা যাবেনা। কিন্তু তারপরেও পুলিশ ও প্রশাসনের সেই নির্দেশ উপেক্ষা করা হচ্ছে। ফলে পথ দূর্ঘটনার দিন দিন বেড়েই চলছে। এনিয়ে দিনের পর দিন ক্ষোভ জন্মেছে জনমানসে। অবশেষে এদিন বালুরঘাট ট্রাফিক আইসির নেতৃত্বে বিরাট পুলিশের দল অভিযান চালায় বালুরঘাট শহর ও আশপাশের ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। সড়কের উপর ফেলে,রাখা প্রোমোটারদের নির্মাণ সামগ্রী দ্রুততার সঙ্গে উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে নির্মাণ সামগ্রী অনত্র সরানোর তদারকি চালানো হয়। অবশেষে ট্রাফিকের এই অভিযানে সন্তুষ্ট সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী পরিবহণ যাত্রী, বাইক আরোহী থেকে সাধারণ পথ চলতি মানুষজন।
ট্রাফিক আইসি অরুণ কুমার তামাং জানান, সড়কে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখার কারণে দূর্ঘটনা বাড়ছে। দ্রুত সেগুলি সরাতে অভিযান চলছে। এছাড়া রাস্তায় ধান শুকোনো যাবেনা বলে তারা নির্দেশিকা জারি করেছেন। এমূহূর্তে নিয়ম ভঙ্গকারীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এরপরে তারা রাস্তায় ফেলা রাখা সমস্ত সামগ্রী তুলে নিয়ে যাবেন গাড়িতে চাপিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *