পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- বর্তমান রাজ্য সরকারের শিক্ষা দুর্নীতির ফলে, সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা জমা না দিতে পারায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি এখন কার্যত অথৈ জলে। এই শিক্ষা দুর্নীতির ফলে বর্তমানে চাকরি খুইয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকারা, এমনই অভিযোগ এবিভিপির! সেই সঙ্গে হিন্দু নিপীড়ন শুরু হয়েছে রাজ্যে, এরই প্রতিবাদে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যদিও জেলা শাসকের দপ্তরের ভেতরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। এবিডিপির কার্যকর্তা অরুনাভ দত্ত বলেন, এবিভিপি মুখে যা বলে, কাজেও তা করে দেখায়। আমরা উনার সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বলেছিলাম, সেই মতই জেলাশাসক স্যার আমাদেরকে সময় দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখানে এসে উনি আমাদের সাথে দেখাও করলেন না ও স্মারকলিপিও জমা নিলেন না। আমরা সোজাভাবে, সোজা পথেই এসেছিলাম, উনি তাও গ্রহণ করলেন না। আমরা বর্ণপরিচয় এনেছিলাম, জেলাশাসক না দেখা করলেও উনারই কোন এক আধিকারিকের হাতে আমরা দিয়ে এসেছি। সেই সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের কেউ কার্যতো এক হাত নিতে দেখা গেল এই এবিভিপি কার্যকর্তাকে! তিনি বলেন চাটুকারিতা করুন, তবে একটু ভেবেচিন্তে! আইএএস, আইপিএস এর মানদন্ডকে বজায় রেখে। এই মেদিনীপুরের মাটিতে বিদ্যাসাগর ও স্বামী বিবেকানন্দের ছবির পাশেই মমতা ব্যানার্জির ছবি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা কি ধরনের অসভ্যতা। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর যে অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, এবার হিন্দুরা জাগুন! না হলে পশ্চিমবাংলায় পরবর্তীকালে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
শিক্ষা দুর্নীতি ও হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবিভিপির অভিযান।

Leave a Reply