রাগের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা,কবুল স্বামী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: – রাগের মাথায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা,কবুল স্বামী।
এমনি মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচল থানার অন্তর্গত ভাকরী গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামে।ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাঁচল থানার পুলিশ।মৃতার স্বামী নওয়াজ শরীফকে আটক করে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মৃতার নাম নাজিদা পারভিন বয়স (২৬)।প্রায় ১০ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় গ্রামেরই এক যুবক নওয়াজ শরীফের সাথে।বাড়ীতে রয়েছে দুই পুত্র সন্তান।বিবাহের পর থেকে মাঝে মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত বলে দাবি প্রতিবেশীদের।

মৃত গৃহবধুর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন,গ্রামেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম।রাত্রে জামাই ও মেয়ে একসঙ্গে আমার বাড়ি থেকে খেয়ে নিজের বাড়িতে গিয়েছিল।তারপর সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।গভীর রাতে শুনতে পেলাম যে মেয়ে মারা গেছে।আমি গিয়ে দেখি গলায় দাগ আছে।জামাই খুন করেছে।কারণ রাত্রে তো স্বামী স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিল।কেন কি কারনে এমন করল জামাই বুঝতে পারছিনা।দুটো ছোট ছোট ছেলে রয়েছে তাদের।

প্রতিবেশী শেখ ইসলাম বলেন,আমার বাড়ি পাশেই তাই ওদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া শুনতে পেতাম।আজকেও রাত্রে ঝগড়া হয়েছিল।আমরা ঘুমিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর আমাকে একজন ডাকে গিয়ে দেখি যে মেয়েটা মারা গেছে আর গলায় দাগ আছে। তারপর মেয়ের বাড়িতে বিষয়টি জানায়।দেখে তো মনে হচ্ছে গলা টিপে খুন করেছে ওর স্বামী ।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা পিংকু আলী বলেন,আমি ঘুমিয়ে ছিলাম।তারপর বাইরে থেকে নওয়াজ শরীফ ওরফে বুলেট আমাকে ডাকছিল। আমি বাইরে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে।সে বললো নাজিদা পারভিন ওরফে মুনমনির কি যেনো হয়ে গেছে, কিছু কথা বলছে না।আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি সে মারা গেছে এবং গলায় দাগ আছে।তারপর মুনমুনের বাবার বাড়িতে খবর পাঠায়।ওর পরিবারের লোক আসে। মাঝেমধ্যেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ওদের ঝগড়া হতো।কিন্তু আজকে হঠাৎ ওকে এভাবে মেরে ফেলবে বুঝতে পারছি না।

মৃত গৃহবধূর স্বামী নাওয়াজ শরীফ বলেন,রাত্রে আমাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল।তারপর আমি তার গলা টিপে দি।আমি ভাবতে পারিনি সে মারা যাবে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।দেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *