পরিবেশ গবেষক কে বালুরঘাটে সংবর্ধনা প্রদান দিশারী সংকল্পের।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  দিশারী সংকল্পের পক্ষ থেকে পর্তুগালের লিসবনে পরিবেশ গবেষণা পত্র পাঠের আমন্ত্রণ পাওয়ায় পতিরামের বাসিন্দা
প্রলয় কুমার সূত্রধরকে সংবর্ধনা দিল দিশারী সংকল্প।
বিগত দুই দশক ধরে দিশারী সংকল্প পরিবেশের কাজ নিজেরা করার সঙ্গে সঙ্গে
অন্যান্য পরিবেশ সংগঠন তৈরি এবং সমষ্টিগত ও ব্যক্তিগত পরিবেশ চিন্তা ধারণাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে।
প্রলয় কুমার সূত্রধরের বাড়ি পতিরাম সাহা পাড়ায়। পড়াশোনা পতিরাম উচ্চ বিদ্যালয় এবং তারপরে পতিরাম জামিনী মজুমদার মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়ে। এরপর স্নাতকোত্তর স্তরে পড়বার জন্য তিনি যান বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে গবেষণা করছেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে এবার পর্তুগালের লিসবনে পরিবেশ গবেষণা পত্র পাঠের সুযোগ।
পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়বস্তু কি? শুনে নেওয়া যাক প্রলয়ের নিজের কথাতেই।’এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির ও অন্যান্য আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা বিভাগের একজন গবেষক, আগামী ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনে-এ গবেষণাপত্র “ইকো: এ কালচারাল ক্রিটিক অব ইন্ডিয়াজ এনার্জি পলিসি” উপস্থাপন করতে চলেছি। এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে নোভা ইউনিভার্সিটি অব লিসবন-এর স্কুল অব সোস্যাল সায়েন্সেস এণ্ড হিউম্যানিটিজ।
গবেষণার মূল বিষয় কি?
গবেষণার মূল ক্ষেত্র হলো এনার্জি হিউম্যানিটিজ—যা এনভায়রনমেন্টাল হিউম্যানিটিজ -এর একটি নবীন অথচ ক্রমবর্ধমান শাখা। এই গবেষণায় অনুসন্ধান করা হয়েছে কীভাবে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক পাঠ্য ভারতের শক্তি নীতিকে শুধু ভাষ্যরূপেই উপস্থাপন করে না, বরং নৈতিক ও নীতিগত দিক থেকে তা মূল্যায়নের একটি কৌশলগত পদ্ধতি হিসেবেও কাজ করতে পারে।
“ইকো” শব্দটিকে শুধু পরিবেশগত বোধ হিসেবে নয়, বরং একটি গভীর সাংস্কৃতিক সমালোচনার ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে, যা শক্তিনির্ভর উন্নয়নের প্রচলিত কাঠামোকে প্রশ্ন করে।
দিশারী সংকল্পের পক্ষে সম্পাদক তুহিন শুভ্র মন্ডল জানান ‘ পরিবেশ সংরক্ষণের ধারণাকে জনপ্রিয় করতে পরিবেশের কাজকে উৎসাহ প্রদান করতে এই উদ্যোগ। এতে অন্যান্যরাও পরিবেশ গবেষণায় আগ্রহী হবে বলে আমরা মনে করছি।’
গবেষক প্রলয় কুমার সূত্রধর জানান ‘ দিশারী সংকল্পের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে আর‌ও উৎসাহিত হলাম।
এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমি উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের মাঝে পরিবেশ ভাবনার পার্থক্য, রাজনৈতিক চাপ এবং সাংস্কৃতিক প্রতিধ্বনির মধ্যকার সম্পর্ককে অন্বেষণ করতে চাই—বিশেষত দক্ষিণের প্রেক্ষাপটে, যেখানেই উন্নয়নের নামে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অতিনির্ভরতা এক নব্য সাংস্কৃতিক অসংগতি তৈরি করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *