প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাঁচিয়ে দিল গোটা খট্টিমারি বাজারকে।

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ধুপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র জনবহুল সাপ্তাহিক বাজার খট্টিমারি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ে পুড়ে ছাই একটি দোকান । এদিন রাতভর মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। বৃষ্টির মাঝেই খট্টিমারি বাজারে রাত আনুমানিক দুইটা তিরিশ নাগাদ ভাগ্য রায়ের মোবাইল দোকানে দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান বাজারে বসবাস করা এক স্থানীয় বাসিন্দা। এরপরই প্রতিবেশীদের ঢেকে নিজেরা মিলেই শুরু হয় বৃষ্টিতে জমে থাকা জল দিয়ে আগুন নেভানো চেষ্টা। প্রবল বৃষ্টির মাঝেও আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই ভয়ংকর রূপ নেয় যে প্রত্যেকেই আতঙ্কে আঁতকে ওঠে। ধুপগুড়ি দমকল ও ধুপগুড়ি থানায় খবর দেওয়া হলে তড়িঘড়ি ডাউকিমারি আউটপোস্টের পুলিশ, গ্রামীণ পুলিশ ও ধুপগুড়ি দমকলের একটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট এর কারণেই এই আগুন। এদিনের ঘটনায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার অধিক বৈদ্যুতিক ও মোবাইল সরঞ্জাম আগুনে বস্মীভূত হয় বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকের। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী আরো বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায় যদিও তুলনামূলক ক্ষতির পরিমাণ কম । তবে এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অভিশাপ হিসেবে নয় খট্টিমারি বাঁশির জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই কাজ করে বলে দাবি করেছেন প্রত্যেকে।। কেননা এই বাজারে একই সঙ্গে গা ঘেঁষে ৫০টির অধিক দোকান রয়েছে। সময় মত আগুন নেভাতে না পারলে গোটা বাজার পুড়ে ছাই হয়ে যেত। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, এত বড় একটি বাজার যা পুরোপুরি ভাবে দমকলের উপরই নির্ভর করে, কোথাও কোন অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না এই বাজারে। এদিকে ঘটনাস্থলে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বামী তথা খট্টিমারি বাজারের হাট মালিক উপস্থিত হয়। তিনি জানান আজ সমস্ত দোকান মালিকদের নিয়ে দ্রুত অগ্নি নির্বাপক সহ বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বনে যা যা করণীয় সমস্ত কিছুই করা হবে।। তবে বিরাট বড় ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পেল খট্টিমারি বাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *