মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১৯ টি বইকে রাজ্যের স্কুলগুলির গ্রন্থাগারে রাখবার ফরমানকে হিটলারের মানসিকতার সাথে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা :- মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১৯ টি বইকে রাজ্যের স্কুলগুলির গ্রন্থাগারে রাখবার ফরমানকে হিটলারের মানসিকতার সাথে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তিনি আশংকা প্রকাশ করে এও বলেন ওই এপাং ওপাং ঝপাং জাতীয় বই পড়লে ছাত্র ছাত্রীরা মানসিক অবদাদ গ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।এসব হিটলার সে সময় জার্মানিতে এই মানসিকতা চালু করেছিল। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী আরও বলেন কে কি পড়বে তা কি সরকার ঠিক করে দিতে পারে ? সরকার বরং বড় জোর এটা করতে পারে , একটা রেকমেন্ডশন লিস্ট পাঠিয়ে বলতে পারে এই বই গুলির মধ্যে থেকে বই স্কুল লাইব্রেরীতে রাখতে পারেন, কখনই সরকার বলতে পারে না নির্দিষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর ওই বই গুলিই স্কুল লাব্রেরীতে রাখতে হবে। তিনি এও বলেন মুখ্যমন্ত্রীর বই যদি এত ভালই হবে তবে সে বই গুলি বাজারের বইয়ের দোকান গুলিতে কেন পাওয়া যায় না। ভাল বই হলে মানুষ বইয়ের দোকানে গিয়ে যেমন শরৎচন্দ্র, , বংকিম চন্দ্রের, বিবেকানন্দ্র বই কেনে মুখ্যমন্ত্রীর বইও কিনবে। তাতে একটা কম্পিটিশন ও বজায় থাকবে।মংগলবার বালুরঘাটে সাংবাদিকদের সংগে মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ ব্যাপারে এও বলেন রাজ্যে এখনও বহু স্কুল রয়েছে অর্থের অভাবে সংষ্কার করা যাচ্ছে না, আজকেই তার এলাকার দুজন শিক্ষক মশাই তার সাথে দেখা করে অর্থাভাবে তাদের স্কুলের সংষ্কার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়ে গেলেন। সেখানে এভাবে জনগনের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের দেওয়া টাকা নিয়ে সরকার কখনই এভাবে সেই সরকারি পয়সার অপচয় করতে পারে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।এটা তো সরকারি পয়সার নয় ছয় করা হচ্ছে। পাশাপাশি তার দাবি ওই সব বইয়ের হাল শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ঝালমুড়ির দোকান দোকানি ঝালমুড়ি বিক্রি করছে।তিনিও বলেন মুখ্যমন্ত্রীর বই ছবি নাকি খুব দামি, তা সে সব বই তার পার্টি বিক্রি করবে সরকার কেন আগ বাড়িয়ে সরকারি পয়সায় বই কিনে স্কুলে রাখার কথা বলছে, তার মানে এর মধ্যেও সন্দেহজনক কিছু একটা থাকলেও থাকতে পারে বলে সুকান্ত মন্তব্য করেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি গতকাল কালিগঞ্জের উপনির্বাচনে শাসক দলের উল্লাস মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় একটি শিশুর মৃত্যু হলো সে নিয়ে দুখপ্রকাশ করে বলেন এর জন্য তৃনমুলের সংষ্কৃতিই দায়ি, কেননা এই দল এই বোমা বন্দুকেই বিশ্বাসি, যার জেরে গতকাল স্রেফ শাসক দলকে শিশুটির বাবা মা ভোট দেয় নি বলে তাদের ছোড়া বোমায় তাদের কোল খালি হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী এখন বড় বড় কথা বলছেন দায় সারছেন অন্য কোন মুখ্যমন্ত্রী হলে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারত না। তিনি এও বলেন ওই শিশুটির পরিবার আমাদের ভোটার নয় তা জেনেও আমরা ওই পরিবারের পাশে গিয়েদাড়িয়েছি সমবেদনা জানাবার জন্য। আমার নির্দেশেই গতকাল ওখানকার প্রার্থী আশিষ ঘোষ ওদের বাড়িতে যান বলে তিই জানান। আর এর পরেই তিনি এই বাংলায় আলাদা ভাবে নির্বাচন করার কথা নির্বাচন কমিশনের কাছে ভাবার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যেমন চুরি দুর্নীতি ঠেকাতে আদালত ১০০ দিনের কাজ কে অনান্য রাজ্য থেকে আলাদা নিয়মে এরাজ্যে ফের চালু করবার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে। ঠিক সে ভাবেই নির্বাচন কমিশনের উচিত এই পশ্চিমবংগ রাজ্যের ভোট নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করতে না হলে এই রাজ্যে ভোট সেই প্রহসনেই রয়ে যাবে, বলে সুকান্ত মজুমদার এদিন দ্বার্থহীন ভাষায় জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *