চাকদা, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সম্প্রতি আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে চাকদাহে আইডিএফসি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। হতাশায় ভেঙে পড়েন সেই ব্যাংকের গ্রাহকরা। রীতিমতো প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে পুরো ডাকাতির ঘটনাটি ঘটানো হয়। ডাকাতির ঘটনা জানাজানি হতেই সেই ব্যাংকে গিয়ে পৌঁছায় চাকদা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ রানাঘাট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আসিস মৌর্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্ত ধাপলা সহ ডিএসপি হেডকোয়াটার মাতাসিম আক্তার।
ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকা তিনজন অভিযুক্তকে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের পরে কোর্টে পেশ করা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তারপরেই উদ্ধার হয় সোনার গহনা ভর্তি একটি ব্যাগসহ একটি বন্দুক ও কার্তুজ। তাদের লাগাতার জিরার পরে উঠে আসে ডাকাতির ঘটনার চাঞ্চল্যকর মোড়।
ব্যাংক ডাকাতি হওয়ার পর যে সেলস ম্যানেজার পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন পরোক্ষ ভাবে সেই নাকি পুরো ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন। তার সাহায্যতেই বাকি তিনজন ব্যাংকে প্রবেশ করে বন্দুকের ভয় দেখিযে ব্যাংকের ভল্ট থেকে যাবতীয় সামগ্রী চুরি করা হয়েছিল।
এই বিষয় বুধবার রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আশীষ মৌর্য সাংবাদিক বৈঠকে জানান চাকদা বেসরকারি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্ত সেলস ম্যানেজার ঘটনার পরেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার একটা মিথ্যে ষড়যন্ত্র তৈরি করেন। আর তাতেই সন্দেহ ঘনীভূত হয় পুলিশ কর্মীদের মনে। অবশেষ মূল তিন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই প্রকাশিত হয় আসল সত্য। উড়িষ্যার পুরীর থেকে অভিযুক্ত ব্যাংকের সেলস ম্যানেজার কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই হেফাজত পাওয়ার পরে রানাঘাট পুলিশ জেলা এবং চাকদা থানার পুলিশের প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৭ কিলো সাতশ গ্রাম সোনা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী।।
Leave a Reply