
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রথম তৈরি হচ্ছে ফুড টেস্টিং ল্যাব। প্রায় কোটি টাকা খরচ করে এই ল্যাব তৈরি হবে। এরফলে ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলা উপকৃত হবে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই শহরের মধ্যে ফুড টেস্টিং ল্যাবের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার স্কোয়ার ফুট বিল্ডিংয়ে মধ্যে ল্যাবটি তৈরি হবে। এই ল্যাবে সব ধরনের খাবারের গুণমান পরীক্ষা করা যাবে। আগে গোটা জঙ্গলমহলে এই ধরনের কোনও ল্যাব ছিল না। কলকাতায় পাঠানো হতো খাবারের স্যাম্পেল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘খুবই উন্নতমানের ল্যাব তৈরি হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে খুবই দ্রুততার সঙ্গে খাবারের মান টেস্ট করা সম্ভব হবে। ল্যাব তৈরির জন্য এই জেলাকে বেছে নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ বাঙালি খাদ্য রসিক। রকমারি খাবার খেতে পছন্দ করেন। সেই কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও প্রচুর সংখ্যায় খাবারের দোকান গজিয়ে উঠেছে। সেই দোকানে ভিড় করে খাবার খান সাধারণ মানুষ। তাতেই ওঁত পেতে রয়েছে বিপদ। কারণ, সবাই গুণমান বজায় রেখে খাবার তৈরি করেন না। আর সেই সব খাবার খেলেই পেটের রোগ অবধারিত। তাই খাবারে গুণমান পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু মাস আগে ভ্রাম্যমান ল্যাবরেটরির মাধ্যমে শহর এলাকার পাশাপশি গ্রামীণ এলাকায় গিয়েও খাবারের গুণগতমান পরীক্ষা শুরু হয়। বিশেষ রুটিন তৈরি করে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে এই ভ্রাম্যমান গাড়ি। উন্নত প্রযুক্তির এই গাড়ির মাধ্যমে একদিনে প্রায় একশোটি খাবারের নমুনার পরীক্ষা করতে পারছে স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকরা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ছোট-বড় খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্টে থাকা চা, দুধ, তেল সহ বিভিন্ন খাদ্যবস্তুর পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু, বহু খাবারের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্যদফতরের এক আধিকারিক বলেন, আগে খাবার সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হতো। সেই খাবার পরীক্ষা হয়ে আসতে অনেক সময় লাগত। এখন এই ল্যাবেই সমস্ত খাবারের গুণমান টেস্ট হবে। এরফলে খাবারে কোনও সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে প্রশাসন। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা কমল অধিকারী বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই খাবারের গুণমান পরীক্ষা করতে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য দফতর। তাই এখন বেশিরভাগ দোকানে খাবারের মান ভালো। এই ল্যাবের খুব প্রয়োজন ছিল।’












Leave a Reply