Skip to content
  • Monday, 14 July 2025
  • 2:02:34 AM
  • Follow Us
Sob Khabar

Sob Khabar

  • হোম
  • রাজ্য
    • উত্তর বাংলা
      • আলিপুরদুয়ার
      • কোচবিহার
      • দক্ষিণ দিনাজপুর
    • দক্ষিণ বাংলা
      • পশ্চিম মেদিনীপুর
      • পুরুলিয়া
      • পূর্ব মেদিনীপুর
      • ২৪পরগনা
        • গোসাবা
  • কলকাতা
  • দেশ
  • বিদেশ
  • ওপার বাংলা
  • খেলা
  • বিনোদন
    • ভ্রমণ
    • সাক্ষাৎকার
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • সাহিত্য
  • রেসিপি
  • সম্পাদকীয়
  • Home
  • নাটা শম্ভু : সৌগত রাণা কবিয়াল।
Featured সাহিত্য

নাটা শম্ভু : সৌগত রাণা কবিয়াল।

sobkhabaradmin May 21, 2020 0

গত কিছু দিন যাবৎ শরৎ বাবু একটা ভয়াভহ রকম সমস্যায় আছেন, কিছুতেই উনি এই সমস্যার কূল কিনারা করতে পারছেন না ! পোষাকের কারখানায় রাতের শিফটিং ডিউটিতে এমনি সারারাত জেগে জেগে মেজাজ সপ্তমে চড়ে থাকে, তার মধ্যে আজকাল শুরু হয়েছে এই উটকো ঝামেলা ! শহরের পাশ দিয়ে নুপুরের মতো সুর তুলে বয়ে চলা নদী পার হয়ে তেতুলগোলা বাজার, সেই বাজার ছাড়িয়ে তবেই তার ছোট্র টিনচালার ঘর ! বেশিরভাগ সময় অবশ্য ভোর রাতে ঘাটে নৌকা পেয়ে যায়, তবে ঝামেলাটা বাঁধে যখন পার হয়ে নৌকা থেকে নেমে পাঁকা সড়ক ধরে বাজারের পথে ঢুকতেই ! সেই প্রতিদিনের পথে প্রায় মাস তিনেক ধরে এক বিরক্তকর লোক তার সাথে পায়ে পা মিলিয়ে পথ চলে !
প্রায় তিন ফুটের কাছাকাছি প্রচন্ড ফ্যাকাশে দেখতে নাটা এই লোকটা হাতে একটা কালো ছেঁড়া ছাতা নিয়ে প্রতিদিনি নিয়ম করে অপেক্ষা করে শরৎ বাবুর জন্য ! ছোট্র শরীরে আটোসাটো পাঞ্জাবি পাজামায় লোকটার মধ্যে একটা অদ্ভুতুড়ে মায়া আছে, তাই শরৎ বাবু মাঝে মাঝে মন চাইলেই কিছু বলতে পারেন না ! মাঝে দেরি হলে চোখে মুখে ভীষণ উদ্বিগ্নতা নিয়ে ঘাটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে ! সম্ভবত লোকটা বিপত্নীক, কথায় কথায় শুধু তার পরলোকগত স্ত্রীর জন্য কান্না করে ! তখন খুব খারাপ লাগে শরৎ বাবুর, কারন বছর ছয়েক ধরে নিজের স্ত্রীকে হারিয়ে এখন হাড়ে-হাড়ে বোঝেন নিঃসঙ্গতার যন্ত্রনা ! মজার ব্যাপার হচ্ছে শরৎ বাবুর ফিরতে কোনোদিন দেরি হলে দেখা হওয়া মাত্রই দুচোখে অভিমান নিয়ে খুব কটমট করে তাকিয়ে থাকে ! সারা তেতুলগোলা বাজারের পথটাতে সে শরৎ বাবুর সাথে গল্প করতে করতে চলে, বাজার ছেড়ে বা দিকে দুকদম এগুলেই শরৎ বাবুর ঘর ! সেই ঘরের গিন্নি, সেতো ছেড়ে গেছে কবেই, কিছুদিন হলো একটা মাত্র ছেলে তার কলেজ জীবনেই বিয়ে করে বৌ নিয়ে বড়লোক শশুড় বাড়ী থাকে ! বৌমা অবশ্য খুব ভালো মনের মেয়ে, শশুড় বাবাকে প্রায়ই বলে সব ছেড়ে দিয়ে ওদের সাথে থাকতে, কিন্তু শরৎ বাবুর ইচ্ছে হয়না বুড়ো বয়সে ছেলের শশুড় বাড়ী উঠতে ! তাই, ছেলে বৌকে যাই যাচ্ছি করে বুঝিয়ে রাখে, মায়াবতী মেয়েটাকে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করে না ! কাজ নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিয়ে রাতে ঘরে ফিরে যা পারে আগুনে দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে খেয়ে নেন ! প্রায় পঁয়ত্রিশ বছরের কর্ম জীবনে একই কারখানায় কাজ করে জীবনটা কেটে গেলো ! স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সব কেমন যেন আগোছালো হয়ে যায় শরৎ বাবুর ! তবে মাঝে মাঝে ভোর রাতে এই নাটা শম্ভুর এই অযাচিত বন্ধু সংগ ভালই লাগে ! লোকটা নিজের মনের মতো করে কথা বলতে থাকে, তার কথা, তার স্ত্রীর কথা, তার গাঁয়ের কথা, আবার তার প্রেমিকার কথাও, হাহা, নাটা শম্ভুর এই বয়সে একটা প্রেমিকাও আছে ! একদিন শরৎ বাবুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে বলেছে ! তার প্রেমিকা নাকি মহা সুন্দরী, তার রুপে সম্ভবত রাতের ভোর আলো হয়ে যায়, নাটা শম্ভু কথায় অন্তত তাই মনে হয়ে শরৎ বাবুর ! কি দারুন ভাবেই না সে তার প্রেমিকা প্রশংসা করে, আবার কোনদিন মরে যাওয়া বউয়ের জন্য ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে, এই হাসে, এই কাঁদে ! শরৎ বাবুও এই কদিনে আজকাল নিজেও মনের অনেক কথা ভাগ করে নেন নাটা শম্ভুর সাথে, কি সুন্দর একটা সংসার ছিলো তারও ! প্রথম প্রথম শরৎ বাবুর ভালই লাগতো নাটা শম্ভুর সাথে ভোর রাতের কথা বলতে বলতে ক্লান্ত পায়ের এই পথ চলা, কিন্তু সমস্যা বাঁধলো যেদিন বাজারের মাঝামাঝি পথে এলাকার ডাঃ শংকর বাবুর সাথে দেখা হয়ে গেলো ! ভরা জোছনায় শরৎ বাবু সেদিন খুব মন ভরে নাটা শম্ভুর গান শুনতে শুনতে তন্ময় হয়ে পথ চলছিলো, হঠাৎ ডাঃ বাবু হাঁক দিয়ে বলে উঠলেন,” কি হে, শরৎ যে বড়, খুব যে দরাজ গলায় গাইছো মাঝ রাতে একাকি ? ভালোই লাগছে শুনতে, তুমি যে এতো সুন্দর গাইতে জানো তাতো জানতাম না ! ”
কথাটা শুনে সেদিন শরৎ বাবু খুব খুশী না হয়ে বরং কিছুটা বিরক্তই হলেন, লোকটা কি করে এই ভুলটা করলো ? একজনের গুনের প্রশংসায় আরেকজনের বাহবা, সেটা তার মোটেও ভালো লাগে না ! তাই বিরক্ত হয়েই নাটা শম্ভুকে দেখিয়ে বলেছিলেন,” ডাঃ দাদা, আরে না না, আমি নই গো দাদা, তুমি কি দেখতে পাচ্ছো না ? গান গাইছেন আমার এই বন্ধু শম্ভু, বেশ ভালো গায় বলো ?” ডাঃ বাবু হাতে ধরা টর্চ লাইট শরৎ বাবুর মুখে মেরে অবাক হয়েই বলে উঠেছিলেন, ” কোথায়? তোর আশে পাশে কারো টিকিটিও দেখছি না যে ! হাহাহা, বলি, লজ্জার কি আছে, আরে গীত কবিতার আর বয়স কি? ভালো, ভালো, মনের আনন্দে গান গাওয়া, সাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো !” কথাগুলো বলে হাসতে হাসতে পাশ কাটিয়ে ডাঃ দাদা চলে যাওয়ার পর শরৎ বাবুর সব রাগ গিয়ে পড়লো নাটা শম্ভুর উপর ! একটু ধমকের সুরেই তখন বলে উঠেছিলো, “কি ব্যপার শম্ভু, তুমি কোন শব্দ করলে না যে, ডাঃ দাদা কি ভাবলেন বলো দেখিনি !” উত্তরে নাটা শম্ভু মৃদু হেসেছিলো সেদিন ! সেদিনের পর থেকেই শরৎ বাবু কিছুটা বিরক্তের চোখে দেখে নাটা শম্ভুকে ! তাই আজকাল বারবার জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা শম্ভু , এই রোজ রোজ তুমি আমার সাথে বাজার পথটা হেঁটে যাও, তোমার কোন উপকারটা হয় এতে শুনি?” শুনে নাটা শম্ভু শুধু তার ছোট্র মাথা পেন্ডুলামের মতো দুলিয়ে দুলিয়ে বলে, “একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরবেন তো দাদা, আপনার বুকে বুক মেলানোর বড় সাধ যে মনে !” শুনে শরৎ বাবুর হাসি পায়, পৃথিবীটা ভীষণ অদ্ভুতুড়ে, অচেনা মানুষের কতো মায়া ? অথচ চেনা মানুষগুলোই হঠাৎ করে অচেনা হয়ে যায়, মন্দ ভালো নিয়ে মানুষ আর এখন আর ভাবে কোথায় ?

যাক সে কথা, আজ সকাল থেকে শহর জুড়ে খুব বৃষ্টি হচ্ছে, তাই তারাতারি করে ঘাটে এসেছেন শরৎ বাবু, যদি নৌকা না মেলে, তবে এই বৃষ্টি মাথায় করে বসে থাকতে হবে ঘাটে ! ভাগ্য ভালো বলে রশিদ মিয়ার নৌকায় উঠতে পারলেন, প্রচন্ড বৃষ্টিতে নৌকা ডোবে প্রায়, সবাই ঠাকুর গোপাল জপতে জপতে অবশেষে পাড়ে ভেড়ে নৌকা নিয়ে ! নামতেই গিয়ে খেয়াল হয় নাটা শম্ভু উদ্বিগ্ন চোখ মুখে ঘাটে দাঁড়িয়ে ! দেখেই খুব মায়া হলো শরৎ বাবুর, তাই সবার সামনেই একটু রাগ করেই বলে উঠলো,” আরে শম্ভু, তুমি শুধু শুধু বৃষ্টিতে ভিজছো কেন শুনি ? এই বয়সে বিছানায় পড়লে তোমায় কে দেখবে বলি?” কথাটা শুনে শম্ভু একটু হাসলো শুধু, কিন্তু পাশ থেকে রশিদ মাঝি বলে উঠলো,” আরে শরৎদা, তুমি কাকে কি বলছো ? মাথা টাথা গেছে নাকি ? কেও তো নেই সামনে ! যাও যাও, তারাতারি বাড়ী গিয়ে মাথা মুছে একটা ঘুম দাও, রাত জাগতে জাগতে মাথাটা যে গেছে দেখছি ! ” এমনিতেই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মেজাজ খারাপ, তার মধ্যে মাঝি ব্যাটার কথা শুনে পুরো মেজাজটাই আরো বিগড়ে গেলো ! কিন্তু পরক্ষনে শম্ভুর চোখে তাকাতেই সেই বিদঘুটে হাসিটা চোখে পড়লো, আজ কেন জানি না হঠাৎ একটা অজানা ভয়ে শরৎ বাবুর রক্ত হিম হয়ে গেলো ! তাই মাঝিকে কিছু বলতে চেয়েও কিছু না বলে ঝটপট নৌকা থেকে নেমে গেলেন ! নেমেই তারাতারি হাঁটা দিলেন বাড়ীর দিকে, আজ তাই নাটা শম্ভুকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত হাঁটতে চাইলেন শরৎ বাবু ! কিন্তু প্রতিদিনের মতোই নাটা শম্ভু আজও তার পিছু পিছু চললো ! সম্ভবত শম্ভুও বুঝতে পেরে গেছে, বাবুর আজ খুব রাগ হয়েছে, তাই আজ আর কোন কথা না বলে শুধু বাবুর পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটে চললো ! বাজারের কিছুটা আসতেই হঠাৎ নাটা তার দরাজ গলায় গেয়ে উঠলো, “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়?” দরদ ভরা এই গান শরৎ বাবুর খুব প্রিয়,! তবুও আজ কেন যেন ভালো লাগছে না কিছু, মনে শিরশিরানি ভয়টা রয়েই যাচ্ছে ! তাই শুনেও না শোনার ভান করে দ্রুত এগিয়ে গেলেন সামনের দিকে ! হঠাৎ গান থামিয়ে নাটা শম্ভু একটা খাঁকারি দিয়ে উঠলো, “বলি বাবুর আজ এতো কিসের রাগ হচ্ছে শুনি? সেই থেকে দেখছি আমাকে রেখেই চলে যেতে চাইছেন যে বড়?” শুনে শরৎ বাবু নিজেকে ভরসা দিয়ে একটু চেঁচিয়েই বলে উঠলেন, “আচ্ছা তুমি কোথাকার কে হে শুনি? আমাকে তোমার কথা শুনতে হবে? আজ আমি বুঝতে পেরে গেছি, তুমি মোটেও স্বাভাবিকতা লোক নও ! “কথাটা শুনে আকাশ কাঁপিয়ে হেসে উঠলো নাটা শম্ভু ! একসময় সেই বুক কাঁপানো হাসি থামিয়ে ফিস ফিস করে শরৎ বাবুর কানের কাছে তার স্যাঁতসেঁতে মুখটা নিয়ে বলে উঠলো, “আমাকে যে চাইলেও আপনি আলাদা করতে পারবেন না বাবু, আমি যে আপনার ছায়া গো? শুনেই শরীরের রক্ত সব যেন এক হয়ে বুকে মাদল দিলো ! কিন্তু নাটা শম্ভু তার স্বভাবজাত গলায় আবার বলে উঠলো, “তবে যদি আপনাকে আমায় একটা দিন বুকে জড়াতে দেন তবে আমি আপনাকে আর বিরক্ত করবো না কথা দিচ্ছি !” বুকে জড়ানোর কথা শুনে শরৎ বাবুর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো প্রায়, বয়সের একটা দূর্বলতা থাকে মানুষের মনে, শরৎ বাবুর ও তাই হয়েছে, তবু দূর্বল মনে সাহস করে ঝির ঝির বৃষ্টির মাঝেও হাতের ছাতাটা বন্ধ করে শক্ত করে ধরলো হাতে, তারপর মুখে কৃত্তিম সাহস নিয়ে কাঁপা গলায় বলে উঠলো, “তাহলে সেই মহান ইচ্ছেটা আজই পুর্ন করে মানে মানে এখান থেকে বিদেয় হওতো তুমি, আমার আর ভোর রাতের কোন সাথী চাইনা বাপু !”
হঠাৎ প্রতিরাতের প্রিয় বন্ধু শরৎ বাবুর এহেন কথা শুনে মাথা নিচু করে মন খারাপ করে নাটা শম্ভু চোখে মুখে বিষন্নতা নিয়ে উত্তর দিলো,” আচ্ছা ঠিক আছে তবে, আপনি না চাইলে আমি আর থাকবো না আপনার সাথে, বলেই এমুন করে চোখ ছলছল করে চাইলো যে দেখে শরৎ বাবুর কিছুটা মায়াও হলো, তবু নিজেকে নরম হতে না দিয়ে শরৎ বাবু মুখে চোখে আরও বেশী কঠিন ভাব আর মনে কাঁপুনি নিয়ে বললো, “ঠিক আছে,ঠিক আছে, বলো বলো, কি করলে তুমি আর আমাকে বিরক্ত করবে না?”
এদিকে ধীরে ধীরে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়ছে, শরৎ বাবুর মনে হচ্ছে খুব করে একটা জ্বর আসতে চলেছে তার, এর ওপর পেটের ভেতর নাড়ীভুঁড়ি উল্টে আসতে চাইলো যখন খেয়াল হলো নাটা শম্ভুর মাথার বা দিক দিয়ে মাথার মগজ চুঁয়ে চুঁয়ে পড়ছে ! দেখে নিজের ভেতরের কাঁপুনি শরীরে ছড়ালো শরৎ বাবুর ! ভয়ংকর ভাবে হাসতে হাসতে নাটা শম্ভু আবার বলে উঠলো, ” আমাকে আপনি কি করে দূরে ঠেলবেন বাবু? আমি যে আপনি, আর আপনিই যে আমি বাবু ! হাহাহা, আচ্ছা ঠিক আছে, আমার হাতটা শুধু একবার ধরুন,
বুকে টেনে নিন আমায়, আমি চলে যাবো, বাবু, হিহিহি, চলে যাবো ! ”
প্রচন্ড একটা ভয়কে আঢ়াল করে শরৎ বাবু পেছনে ফিরলেন ভালো করে, আকাশ বিজলির আলোয় নাটা শম্ভুকে ভালো মতো দেখে কাঁপা কাঁপা হাতে শম্ভুর বাড়িয়ে দেয়া হাতটা ধরার চেষ্টা করলো শরৎ বাবু, কিন্তু কি অদ্ভুতুড়ে একটা জেলির মত অনুভব হলো নাটা শম্ভুর হাতটাতে, ধরতেই পিছলে গেলো ! প্রচন্ড ভয় আর রাগে শরৎ বাবুর জেদ চেপে গেলো মনে, এবার আরো শক্ত করে দুই হাত প্রসারিত করে জাপটে ধরতে চাইলো নাটা শম্ভুকে, কিন্তু তেলতেলে একটা বস্তুর মতো বারবার পিছলে ফসকে যাচ্ছে শম্ভুর স্যাঁতসেঁতে শরীর, আর শরৎ ববাবুর সেই ব্যার্থ চেষ্টা দেখে ছোট্র শিশুর মত ভয়ংকর ভাবে হেসে উঠছে নাটা শম্ভু ! শরৎ বাবু আলো আঁধারিতে স্পষ্ট দেখতে পেলেন চোখে মুখে একটা আদিম উল্লাস খেলা করছে নাটা শম্ভুর, মুখ দিয়ে লালার মতো সাদা ফ্যানা ঝড়ছে শম্ভুর ! জরাজির্ন শরীর আর ভয়ে মৃত মন নিয়ে ভোরের আলো না আসা পর্যন্ত শরৎ বাবু পাগলের মতো চিৎকারে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলো শম্ভুকে জড়িয়ে তার থেকে সারাজীবনের মত মুক্ত হতে, কিন্তু নাটা শম্ভুর ভয়ংকর আলো আঁধারিয়া রসিকতায় শেষ পর্যন্ত হার মানতে হলো প্রৌঢ় চাকুরে শরৎ বাবুর ! পরদিন সকালের প্রথম আলোয় তেতুলগোলা বাজারের মানুষ শরৎ বাবুকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় পথে অজ্ঞান হয়ে পরে থাকতে দেখলো ! সবাই অবাক হয়ে দেখলো, কিন্তু কেও সামনে ভিড়লো না ! বেলা গেলে, এক সময় এলাকার কিছু ছেলে ছোকরার চেষ্টায় কিছুটা সুস্থ হয়ে জ্ঞান ফিরলো শরৎ বাবুর, কিন্তু নতুন চেতনহীন একটা মানুষকে আবিষ্কার করলো সেখানকার মানুষ ! সেদিনের সেই জ্ঞান ফেরার পর থেকেই তেতুলগোলা বাজারে অর্ধনগ্ন শরৎ বাবু যাকে সামনে পায় তাকেই জড়িয়ে ধরে শিশুর মত হাসতে হাসতে বলেন,” ধরেছি, ধরেছি,”, আবার পরক্ষনেই হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠেন, “কিন্তু নাটাকে ধরলে যে পিছলে যেত? কেন গো, পিছলে যেতো কেন? তোমরা বিশ্বাস করো আমি সত্যিই বলছি, নাটা শম্ভুকে ধরলেই পিছলে যায়, বড় দুষ্ট এই নাটাটা ! ” এভাবে তেতুলগোলা বাজারে এক সময় শরৎ বাবুর নাম হয়ে যায় নাটা পাগল, আর ছেলে ছোকরারা দেখলেই ঢিল ছুড়ে দিয়ে ক্ষেপাতে থাকে
“ধরলেই পিছলে যায় নাটা পাগল, ধরলেই পিছলে যায় ! ”

রচনাকাল : ৩০/০৭/২০১৭

sobkhabaradmin

Website:

Related Story
Featured দক্ষিণ বাংলা দেশ বিবিধ রাজ্য ২৪পরগনা
নাবালিকা ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ গ্রেফতার স্কুলের প্রিন্সিপাল।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured দক্ষিণ বাংলা দেশ পূর্ব মেদিনীপুর বিবিধ রাজ্য লাইফস্টাইল
পাঁশকুড়ার কাঁসাই নদীর বাঁধ পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured খেলা দক্ষিণ বাংলা দেশ পূর্ব মেদিনীপুর বিবিধ রাজ্য
কোলাঘাটে রাজ্য স্তরের দাওয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিল ৯০% প্রতিবন্ধী ও ৭৩ বছরের বৃদ্ধা ।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured উত্তর বাংলা দেশ বিবিধ মুর্শিদাবাদ রাজ্য
ইমাম ভাতার নামে মসজিদের ছবি ও দলিল চাওয়ায় মুর্শিদাবাদে তীব্র বিরোধ।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured উত্তর বাংলা দক্ষিণ দিনাজপুর দেশ বিবিধ রাজ্য সাহিত্য
বালুরঘাট শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও বালুরঘাট শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured দেশ বিবিধ রাজ্য সম্পাদকীয় সাহিত্য
যতীন্দ্র নাথ দাস: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভুলে যাওয়া নায়ক।।।।।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured বিবিধ লাইফস্টাইল সাহিত্য
জানুন কলার আশ্চর্যজনক উপকারিতা।।।।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured বিদেশ বিনোদন বিবিধ ভ্রমণ সম্পাদকীয় সাহিত্য
থাইল্যান্ডের বিস্ময় আবিষ্কার করুন : একটি ভ্রমণকারীর স্বর্গ।।।।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured বিদেশ বিনোদন বিবিধ ভ্রমণ সম্পাদকীয় সাহিত্য
বিশ্বের বিস্ময় অন্বেষণ করুন : বিদেশে শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য।।।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured দক্ষিণ বাংলা দেশ পশ্চিম মেদিনীপুর বিবিধ রাজ্য লাইফস্টাইল
মেদিনীপুর শহরের প্রস্তুতি সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা সায়নী ও দেবাংশু, তৃনাঙ্কুরের।
sobkhabaradmin Jul 12, 2025

Leave a Reply
Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

YOU MAY HAVE MISSED
Featured দক্ষিণ বাংলা দেশ বিবিধ রাজ্য ২৪পরগনা
নাবালিকা ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ গ্রেফতার স্কুলের প্রিন্সিপাল।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured দক্ষিণ বাংলা দেশ পূর্ব মেদিনীপুর বিবিধ রাজ্য লাইফস্টাইল
পাঁশকুড়ার কাঁসাই নদীর বাঁধ পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured খেলা দক্ষিণ বাংলা দেশ পূর্ব মেদিনীপুর বিবিধ রাজ্য
কোলাঘাটে রাজ্য স্তরের দাওয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিল ৯০% প্রতিবন্ধী ও ৭৩ বছরের বৃদ্ধা ।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025
Featured উত্তর বাংলা দেশ বিবিধ মুর্শিদাবাদ রাজ্য
ইমাম ভাতার নামে মসজিদের ছবি ও দলিল চাওয়ায় মুর্শিদাবাদে তীব্র বিরোধ।
sobkhabaradmin Jul 13, 2025

Copyright © 2025 | Powered by WordPress | Newsio by ThemeArile