বির্বণ ফুটবল : নাফিসা খান।।

রেফারি থেকে দর্শক,গোলকিপার
থেকে মিট ফিলডার সব ভূমিকায়
সমান পারদর্শী…….
ছয় ইঞ্চির মাঠ ও এক বিস্ময় বালক।

একশো গজ মাঠ, এগারো
জন প্লেয়ার ও মাঠ ভর্ত্তি দর্শকের
মাঝে বল পেয়ে সে হতবম্ভ দাঁড়িয়ে……..
হঠাৎ , ওস্তাদ বল ছিনিয়ে এগিয়ে গেল…
হাই স্কোয়ারার সুযোগ পেল না,
সে আজও সুযোগ পেল না।

ভৎসর্না,ভৎসর্না,ভৎসর্না,ভৎসর্নায়
পাওনা গোটা দুই থাপ্পর,তাকে
এ.পি.জে আব্দুল কালামের মতো
হতে হবে…….
প্রতিনিয়ত ইঁদুর দৌড়ে তাকে প্রমাণ
করতে হবে সে একাধারে আইনস্টাইন,
স্টিভেন হকিংস অন্যদিকে পেলে,
মারাদোনা ,মেসি, শচীন ,সৌরভ ,
মাইকেল জ্যাকসন……বিবর্ণ ফুটবল
চিৎকার করে……..

নো মোর স্পেস ,নো মোর স্পেস
নো মোর স্পেস!

অন্নপ্রাশনের দিন সে উপহার পেয়েছিল
এক গুচ্ছ স্বপ্ন,স্কন্ধটা ঝুকে আছে
ফুটবলের কাছাকাছি,মাঠ ভর্ত্তি দর্শক
ছেলেটি ছুটছে,ছুটছে,ছুটছে…..
হঠাৎ ছিটকে গেল মাঠের বাইরে…..
পড়ে আছে ব্যাগ ভরা উচ্চকাঙ্ক্ষা।

ছেলেটি খেলতে চায় ,সে খেলতে
চায় মুক্ত বাতাসের সাথে,যেখানে
স্কন্ধটা নিমজ্জিত নয়,মাঠ থেকে
ছিটকে পড়ার ভৎসর্না যেখানে পড়ার
টেবিলে ফেরি দেয় না,যেখানে সুযোগ
আছে বল নিয়ে অবাধে ছুট লাগানোর।

কিন্তু,
ছুটতে ,ছুটতে ,ছুটতে ওরা হারিয়ে
যায় গোলকধামে…….
বির্বণ শৈশব কফিনের বাক্সে রুদ্রশ্বাস
গোণে….বারেবারে উন্মুক্ত ফুটবলের স্বপ্নে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *