কর্তা গিন্নির কচকচানি ১ : শিপ্রা দে।

0
494

কর্তা গিন্নির কচকচানি ১ : শিপ্রা দে।

কর্তার আজকাল যে কি ভীমরতি ধরেছে কে জানে একটা বললেই হোলো নিজে কানে কম শোনে তারপর মানবে না তাকে নিয়ে যে কি নাজেহাল তা গিন্নিই জানেন।
এই পরশু রাতের কথা,গিন্নি রান্নাঘরে রাতের কাজ গুলো সারছে এই যেমন বাদাম ভেজানো,দই বসানো,গ্যাস পরিষ্কার,কিচেনের স্ল্যাপ পরিষ্কার আরো টুকিটাকি তো থাকেই। অমনি আদরে গদগদ হয় কর্তা “ওগো শুনছো” বলতে বলতে রান্নাঘরে গিয়ে “কি গো তোমার এখনো রাতের কাজ সারা হোলো না? গিন্নি রেগে দাঁত খিচিয়ে “আ’মরণ বুড়োর যেন দিন দিন ভীমরতি ধরেছে যাও bed’এ যাও”
বলার সঙ্গে সঙ্গে কর্তা কি শুনল কে বুঝল কে জানে!পাশে পড়ে থাকা পাউরুটি নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিল রাত এগারোটার সময়!
গিন্নি:- “আরে আরে কোরছো টা কি ? তোমার কি হোলো বলোতো! তোমার কি খিদে পেয়েছে? যে এই রাত এগারোটার সময় পাউরুটি খাচ্ছ!” বিড়বিড় করে বলে মিনসে তো আমার হাড়মাস এক করে দিল কালা কোথাকার!
কর্তা হা করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে,
“কি বললে কি বললে? আমি কালা? “তোমার বাপ কালা তোমার মা কালা তোমার চৌদ্দ গুষ্টি কালা।”
ও বাব্বা! “একথা তো ঠিক শুনলে দেখি।”
তুমিই তো বললে bread খাও তাই আমি খাচ্ছি।”
গিন্নির এতো রাতে গিন্নির লোক হাসাতে মানে বাধল তাই আর কি! নতুবা আজ তো একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়ত,বাপের বাড়ি তুলে কথা!
গিন্নি রেগে পাউরুটির প্যাকেট কর্তার হাতের থেকে কেড়ে নিয়ে বলে “তোমার বিছানায় যাও ঘুমাও। এখন আর একটা কথাও না ,তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে!
কর্তা বুঝতে পারে বাপের বাড়ি তুলে কথা হয়েছে যখন আর কিছু না বলাই ভালো, সে তবু মনে মনে ভাবে তাকে গিন্নিই তো বললে ব্রেড খেতে তাহলে কেনই বা এতো মেজাজ দেখালো ব্রেড কেড়ে নিল হাত থেকে? আবার ভাবছে এতো রাত্রে সে আমাকে ব্রেড খেতেই বা বলবে কেন? এইসব ভাবতে ভাবতে চুপচাপ চলে যায় বিছানায়। সেই রাতে আর গিন্নিকে সোহাগ করার সাহস তাঁর কুলোয় নি।