ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে মার সাথে মেঝেতে শুয়ে থাকতাম আমরা
পিঠ স্পর্শ করে বয়ে যেত একটা আঁকাবাঁকা, দীর্ঘ, শীতল নদী
তার ঢেউয়ের দোলা অনুভব করতাম শরীরে স্পষ্ট…
মা গল্প শোনাতেন শুয়ে শুয়ে…অনাদি, অনন্ত মেয়েবেলার কথা…
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আঁজলা আঁজলা জীবনকথা
খলবলিয়ে উঠত ঢেউজলে, রূপোলি চাঁদমাছের মতো
ছোট ছোট দুঃখব্যথার আঁশ কুড়িয়ে গেঁথে নিতাম
সুখ-দুঃখ, আবেগ-অনুভূতির নিজস্ব মালা, হৃদয়ের…
মালা গলায় পরলেই নদীর চরে ভিড় জমাতো আমাদের পূর্বনারীরা
তাদের হলুদ হাতে-পায়ে সময়ের ধূসর বালি…
একটা সনাতনী স্নেহবাতাস নদী ছুঁয়ে ভিজিয়ে দিত
আমাদের মুখ নরম আঁচলের মতো
নদীস্পর্শ করে দুঃখস্নানে পবিত্র হওয়ার পাঠ নিতাম রোজ মায়ের কাছে…
____________________________________________
Leave a Reply