আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

0
389

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের কালীনারায়নপুর পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের বেরকামগাছিতে। গত 7 ডিসেম্বর আত্মঘাতী হয় কালীনারায়নপুর পাহাড় পুর পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্স চালক বছর ঊনপঞ্চাশের উত্তম বিশ্বাস। অভিযোগ উত্তম বিশ্বাসকে পঞ্চায়েতের পাওনা টাকার জন্য প্রচণ্ড চাপ দেয় কালীনারায়নপুর পাহাড় পুর পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাস ঘোষের স্বামী যুব তৃণমূল নেতা জানকীকান্ত দাস। উত্তম বিশ্বাসের পরিবারের দাবি সুইসাইডনোটে উত্তম বিশ্বাস জানকীকান্ত দাসের নাম লিখে গেছে এবং তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে। এই সুইসাইড নোট উত্তমের লেখা মানতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কালীনারায়নপুর পাহাড়পুর অঞ্চলের বেরকামগাছির নিজের বাড়িতে গত 7 তারিখ উত্তম বিশ্বাস ঘাস মারার বিষ খায় আত্মহননের জন্য। এরপর উত্তমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। উত্তমের মৃত্যুকে ঘিরে তাঁর পরিবারের লোকেরা অভিযোগের আঙুল তুলছে পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাহেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে উত্তম বিশ্বাসের ভাই প্রদীপ বিশ্বাস। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাস ঘোষ ও যুব তৃণমূল নেতা জানকীকান্ত দাস। গত 9ই ডিসেম্বর অভিযোগের পর তদন্ত নেমেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ।এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেরও গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাস ঘোষ এবং তাঁর স্বামী রানাঘাট 1নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি জানকীকান্ত দাসের বক্তব্য ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে।মৃত উত্তম বিশ্বাসের চারিত্রিক দোষ ছিল এবং জুয়া খেলার নেশা ছিল বলে দাবি করছে পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামী।