মানবিক বিধায়ক দুঃস্থদের হাতে তুলেদিলেন শীতবস্ত্র।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –ছোট থেকেই নিজের বাবা-মা কে হারিয়েছেন চিরতরে।সেই দুঃখ কষ্ট নিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের ভীড়ে মিলেমিশে গিয়ে নিজের বাবা-মা কে খুঁজে পেতেন।কলেজে পড়াশোনা করাকালীন মানুষের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়াতেন।ক্ষমতা অনুযায়ী দুঃস্থদের অর্থ,বস্ত্র এমনকি খাদ্যসামগ্রী দান করতেন। বর্তমানে তিনি ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশরাম দাস।রাজনীতির আঙিনায় পা দিয়েই,নিজের কাজের মাধ্যেমে নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে বিধায়ক পদে আসীন হয়েছেন।তিনি প্রায় ২৪ ঘন্টা সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।একদা ক্যানিংয়ের সাতমূখী বাজারে এক রক্তদান উৎসবে বিধায়ক পরেশরাম দাস জানিয়েছিলেন আমার কেউ নেই!আপনারাই আমার মা-বাবা,ভাই-বোন,দাদা-দিদি।তবে তিনি যে কথার সাথে বাস্তবে তালমিলিয়ে চলেন তা বারে বারে প্রমাণিত হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। তিনি তাঁর মা-বাবা কে অনেক ছোটতেই হারিয়েছেন।দীর্ঘদিন পর তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিজের বাড়িতেই শুক্রবার মূর্তি স্থাপন করেন।মূর্তির গলায় পরিয়ে দিলেন মালা। প্রণাম সেরে উঠতেই মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো বিধায়কের।ভাবলেন বাড়িতে বাবা-মায়ের মূর্তি স্থাপন হল। বাইরে অজস্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাবা-মা ফুটপাথে পড়ে শীতে কষ্ট পাচ্ছে। তাঁরাও তো আমার বাবা-মা। যেমন ভাবা তেমন কাজ। কনকনে ঠান্ডায় শীতের রাতের সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন বিধায়ক পরেশরাম দাস। খোঁজ নিলেন অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের।পরে তাঁদের হাতে তুলে দিলে শীতের কম্বল এবং মিষ্টির প্যাকেট।আচমকা রাতের অন্ধকারে বিধায়কের হাত থেকে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে মন ভরে যায় তাদের।তবে শীতবস্ত্র তুলেদিয়ে অসহায় মানুষদের কে বিধায়ক জানিয়েছে কোন অসুবিধা নেই। তোমাদের পরেশরাম তোমাদের পাশেই আছে।
কেন এমন কর্মযঞ্জ?এমন প্রশ্নের উত্তরের বিধায়ক জানিয়েছেন বাবা-মায়ের মূর্তি স্থাপন করেছি বাড়িতেই। কিন্তু বাইরে অসংখ্য বৃদ্ধা বৃদ্ধরা অসহায় হয়ে পড়ে রয়েছেন। শীতে কাঁপছেন। তাঁরাও তো আমার বাবা-মা। পৃথিবীতে সকলে যেমন এসেছে,তেমনই সকল কে চলে যেতে হবে।ফলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছি।’
আচমকা রাতের অন্ধকারে বিধায়কের এমন মানবিক কর্মযঞ্জ দেখে সাধারণ পথচলিত মানুষজন কুর্ণিশ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *