মাথাভাঙায় ৫০ টি গরু বোঝাই একটি ট্রাক আটক, পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ৪।

0
339

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ ফের বড়োসড়ো সাফল্য পেল মাথাভাঙা থানার পুলিশ।৫০টি গরু বোঝাই একটি ট্রাক আটক পুলিশের। পাচারের অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে গতকাল রাতে মাথাভাঙ্গা থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন মাথাভাঙ্গা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, সঙ্গে ছিলেন মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান ও নিশিগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি অজয় রায় প্রমুখ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মাথাভাঙা কোচবিহার রাজ্য সড়কে একটি ট্রাক আটক করে। সেই ট্রাকে র ভেতরে থাকা ৫০ টি গরুর বাছুর ছিল। যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম যথাক্রমে, শাহাবুদ্দিন, বাদশা, মোঃ রহমত, মোহাম্মদ দুবে, এদের বাড়ি বিহারে। সুরজিৎ বাবু আরও জানান গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চ্যাংড়াবান্ধা থেকে কোচবিহার এর দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। ট্রাকের ভিতরে অবৈধ গরুর বাছুর ও গরু ছিল। কেউ কেউ মনে করছেন ওই বাছুরগুলো শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা থেকে কোচবিহার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোন গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখনই পুলিশ গরুসহ ট্রাকটিকে আটক করে।জানা গেছে শিলিগুড়ি ও বিহার সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু কোচবিহারে বিভিন্ন গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। শীতের কুয়াশার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হয়। পাশাপাশি উত্তরার বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুষ্কৃতীরা গরু চুরি করে বাংলাদেশে পাচার করে। যদিও পুলিশের তৎপরতায় নিশিগঞ্জ ঘোকসাডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা শীতলকুচি পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার গরু উদ্ধার হয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে গরু পাচার কিছুটা বন্ধ হলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে শীত এবং কুয়াশা যত বাড়বে গরু পাচারের চক্রটা ততটা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল জানান, যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি এই গরু গুলো কোথা থেকে আনা হয়েছিল কোথায় যাবে কেনইবা এইভাবে গরুর বাছুর গুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার সমস্ত কিছু ধৃতদের কাছ থেকে জানবার চেষ্টা করা হবে তদন্তের ভিত্তিতে। পুলিশের এই বড়োসড়ো সাফল্য ভবিষ্যতে গরু পাচার এবং অবৈধভাবে গরু নেওয়া কিছুটা হলেও বন্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।