নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকে বগলপুর গ্রামে রাতের অন্ধকারে ফলন্ত চাষের জমিতে দুষ্কৃতীর তাণ্ডব, এক বিঘা বাঁধাকপি সহ ফলন্ত পেঁপের জমিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

0
450

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া :- সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মাত্র দু’দিন আগেই মহাসমারোহে পালিত হয়েছিল কৃষক দিবস। অথচ কৃষকের ফলন্ত জমি হোক বা ফসলের নিরাপত্তা কতটুকু এই নিয়েই প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। ধন সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের বিশেষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকলেও চাষের মাঠের নিরাপত্তা ইদানীং খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের, আরবান্দি একনম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বগলপুর সরদার পাড়া গ্রামের দীর্ঘদিনের চাষী গোপাল ঘোষ। সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধানের জমি থেকে আনাজ বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো। চড়া সুদে ধার করা অর্থ দিয়ে কেনা বীজ সার সবটাই ছিল জলের তলায়। আর সেই ঘাটতি পূরণ করতে স্থানীয় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাঁধাকপি লাগিয়েছিলেন এক বিঘে জমিতে। বর্তমান বাজারদর কুড়ি টাকা পাইকারি দরে সবেমাত্র বিক্রি শুরু করেছিলেন। গতকাল রাতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ওই পরিবার। তিনি জানান রাত দশটা পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও মাঠে ছিলেন, আজ সকাল সাতটায় শোনেন সমস্ত জমির বিক্রিযোগ্য বাঁধাকপি ধারালো অস্ত্র দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কেউ বা কারা তা নষ্ট করে গেছে। কপির পাতা নেওয়া বা জমিতে জল নেওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা খুব স্বাভাবিক বিষয় তবে এ তিনি নির্দিষ্ট করে কোন অনুমান করতে পারছেন না। তবে তদন্তের জন্য শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে শান্তিপুর থানা। গোপাল বাবুর ই ওই জমির প্রস্থ পেঁপে বাগান এবং পটলের ক্ষেতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেন দুষ্কৃতীরা।
কিছুদিন আগে গোপাল বাবুর দাদা মদনমোহন ঘোষের বাঁধাকপির জমিতে একইভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলরাম ঘোষ জানান, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাথে কথা বলে ব্যাংকের লোন মুকুব করা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়টি আলোচনা করবেন।