ক্যামেরার আড়ালে ( অণু উপন্যাস, পর্ব-চার) : মানস সরকার।

0
370

প্রায় দৌড়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে বাজারের ব্যাগটা রান্নাঘরের সামনে রেখে এদিক-ওদিক তাকাল ইন্দ্র। নীতাকে চোখে পড়ল না। একটু অবাক হল। দরজা খোলা রেখে গেল কোথায়? কোথায় গেল, ভাবতেই একটু কেঁপে উঠল। নীতা আজকাল প্রায়ই কোথায় যেন চলে যায়। দৃষ্টির অগোচরে। এমনকি সামনে বসে থাকলেও দেখেছে, উদাসী হয়ে নীতার মনটা যেন অন্য কোন্‌ পৃথিবীতে থাকে। কিছু কিছু স্মৃতি সত্যিই ভারাক্রান্ত করে দেয়। তবুও দু’জন দু’জনের কাছে যেন ধরা দেয় না। স্বাভাবিক জীবনে পরিস্থিতিকে মানিয়ে চলার এক অদ্ভুত জীবন চিত্রনাট্য।
বাইরে থেকে বৃষ্টির আওয়াজ আসছে। নিজের ভেজা পাঞ্জাবিটার দিকে একবার তাকাল ইন্দ্র। বৃষ্টিভেজা মিষ্টি দিনের পাঞ্জাবি। দীর্ঘদিন এই ভেজা শরীর থেকে কেউ বৃষ্টির গন্ধকে গ্রহণ করেনি। পাঞ্জাবি আর স্যান্ডো গেঞ্জিটা গা থেকে খুলে টয়লটের সামনে জড়ো করল। বেডরুমটা একবার উঁকি দিয়ে দেখে একতলায় উঠতে শুরু করল। সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই নজরে এল ছাদের দরজাটা

খোলা।
ছাদে বেরোতেই অবাক ইন্দ্র। রেলিং-এ ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির দৃশ্য দেখছে নীতা। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে শরীরের অনেক অংশ ভিজে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শাড়ির আলতো ভাঁজে এক মুহূর্তের জন্য মনে হল, কোনও শাঁখকে দেখছে। দূর দূর পর্যন্ত অস্পষ্ট দৃশ্যমানতা। ও যে বাড়ি ফিরে এসেছে, তা বোধহয় জানেও না। ধীরে সুস্থে একটু এগিয়ে নীতার পাশে একইভাবে রেলিং-এ ভর দিয়ে দাঁড়াতেই ওর যেন সম্বিত ফেরে।
– কখন এলে?
– এইমাত্র। নীচের দরজাটা একদম খোলা ছিল।
– ওই দ্যাখো, একদম মনে ছিল না।
নীতা ইন্দ্রর দিকে ফিরে দাঁড়াতেই ওর সম্পূর্ণ ভেজা শরীরটা নজরে আসে। বৃষ্টির মধ্যেও কোথাও হালকা তৃষ্ণা ছুঁয়ে যায়। ইন্দ্রর উন্মুক্ত শরীরটার দিকে একবার আড়চোখে তাকিয়ে নিয়ে আবার সামনের দিয়ে তাকায় নীতা। বৃষ্টি থেকে সরে আসার বিন্দুমাত্র লক্ষণ ওর মধ্যে দেখা যায় না। অনেকদিন আগের জমাট কোনও রক্তকে ধুয়ে ফেলে এই বৃষ্টি ওদের দুজনকে আরেকটু কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে কি না, ভেবে যাচ্ছিল ইন্দ্র।
মুখ খুলল নীতা, দেবাশীষদা ফোন করেছিল। আবার পরে করবে বলেছে। তুমি মোবাইল নিয়ে যাওনি?
না-সূচক ঘাড় নাড়ল ইন্দ্র। কোর্টে প্রথমবার ডাক পড়ার সময়ে ভয়ঙ্কর টেনশনে ছিল নীতা। কেসটা মেটেনি। সময়ের সাথে সাথে ব্যাপারটা অনেকটা মানিয়ে নিচ্ছে ওরা দু’জনে। জীবনকে স্বাভাবিক ছন্দে এগিয়ে নিয়ে যেতে দাম্পত্যর ঘনত্ব বাড়ানোই সহজ শর্ত।
– চলো, নেমে যাই। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। এভাবে ভিজো না। তোমার তো আবার ঠান্ডা লাগার ধাত।

– বহুদিন এভাবে ভিজিনি। ঠিক সময়ে বর্ষা এসেছে এবার। থাকো, দু’জনেই ভিজি, শিশুর মতো গলায় বলল ইন্দ্র।
– ছেলেমানুষি কোরো না। রান্না করতে হবে।
– আজ তো রবিবার। তাড়াহুড়ো কীসের। হ্যাঁচকা টানে নীতাকে নিজের অনেকটা কাছে নিয়ে আসে ইন্দ্র। শেষ কয়েক মাসে বাধা পেয়েছে। আজ পেল না। ঠান্ডাভাব ছাড়িয়ে শরীরে অদ্ভুত একটা উত্তাপের স্পর্শ পাচ্ছিল।
চারপাশটা একবার তাকিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছিল নীতা। শরীরের নরম জায়গাগুলোয় ঠোঁট দিতেই বৃষ্টির বেগ বহুগুণে বেড়ে যায়।
ক্রমশ ধূসর পৃথিবীকে নতুন প্রাণে সজ্জিত করছিল বৃষ্টি। দু’টি দেহের বৃষ্টি ঘেরা উত্তাপে মমতার গুহায় সৃষ্টি হচ্ছিল নতুন প্রাণের বীজ…।

বর্ষা ভাল লাগে দেবাশীষের। বম্বের বর্ষা অনেক বেশি মোহময় মনে হত। শহর এবং সাগরের ওপর নেমে আসা সেই বর্ষায় জীবনের শ্রেষ্ঠ স্পন্দনগুলোকে সহজেই মিলিয়ে নেওয়া যেত। চন্দননগরের বর্ষা কেমন যেন উদাসী করে নেয়। বৃষ্টির ফোঁটায় এতটুকু আগুন ধরানোর জ্বালা পাওয়া যায় না। কথাটা ভেবে একটু থমকে যেতে হল। বম্বের বর্ষায় মিশে থাকত সুমনা। এই ছোট্ট শহরটায় বর্ষা কি কোথাও সেই অভাববোধকে ফিরিয়ে দেয়!
কথাটা ভাবতেই শরীরে নতুন চমক। আর যেন হঠাৎ করে স্মৃতিতে ডুবে যাওয়া। বর্ষা সুমনাকে কাছে এনেছিল, আবার বর্ষাই দূরে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। হ্যাঙ্গিং গার্ডেনের সবুজ ঘাসে সুমনাকে দেখে মনে হয়েছিল, এ মেঘবতী নারীকে ধারণ করাটাই পুরুষের সৌভাগ্য। সৌভাগ্যযোগে পুরুষ সাহসী হয়। তাহলে তিনি হতে পারলেন না কেন! বম্বেতে সেদিনও ছিল এরকম টিপটিপে বৃষ্টি। অফিস থেকে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে ব্যালকনিতে চায়ের কাপ হাতে বসেছিলেন দেবাশীষ।

বর্ষাঘন পরিবেশে মিস্‌ করছিলেন সুমনাকে। ব্রাউনিং-এর কবিতার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। নিজে সাহিত্যের ছাত্র। পজেটিভ্‌ প্রেমটা বেশ ভালই বোঝেন। অদ্ভুতভাবে নিজের চিন্তার সঙ্গে সবকিছু মিলেমিশে গেছিল যখন বেসফোনটা বেজে উঠেছিল। তুলতেই সুমনা। – দেবা বলছ? একেবারে অন্যরকম মনে হয়েছিল সুমনার স্বর। সহজ গলায় বলে উঠেছিলেন, হ্যাঁ আমিই তো, বলো। ভাবছিলেন, যদিও এ সময় ওর কখনও ফোন আসে না, আজ যখন এসেছে, এই সময়টুকু থেকে বাড়তি কিছু নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বাইরে বর্ষা, ভেতরে সুমনা। অনেকটাই পাওয়া। কিন্তু কথাবার্তাটা যেভাবে এগিয়ে গেল, তাতে অবশ্য মনের নরমভাবটা উধাও হয়ে একটা আতঙ্ক গ্রাস করছিল। – আমার একটা কথা রাখবে? – বলো। – আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলে যেতে পারো? – এখুনি? – যদি বলি তাই। – তা কীকরে সম্ভব! আর এভাবে বলছোই বা কেন! – যা তা শুরু করেছে ও। তুমি খুব ভাল করেই জান, এ রকম ভায়োলেন্ট অ্যাক্ট আমি সহ্য করতে পারি না। – আজ বুঝি সেরকম কিছু হয়েছে? – আসল ব্যাপারটা থেকে সরে যাচ্ছ তুমি। আমি আধঘণ্টা পর ইন্ডিয়াগেটে আসছি। একটা ফাইনাল ডিসিশান আমাদের নিতেই হবে দেবা। প্লিজ, এবার অন্তত নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এস। – দু’-একটা দিন একটু হোল্ড করে গেলে কি হত না! মানে একটু ভেবে-চিন্তে আর কি।

– কাপুরুষ কোথাকার। ফোনটা নামিয়ে রেখে দিয়েছিল সুমনা। আরও একদিন এইরকমই বর্ষা ছিল। তার বেশ কিছুদিন পর। বম্বের বর্ষাকে বম্বেতেই রেখে ট্রান্সফার নিয়ে এই চন্দননগরে চলে এসেছিলেন দেবাশীষ। নিজের জীবনে কোনও বন্ধন নেই বলেই কি বন্ধনের মূল্য কখনও বুঝে উঠতে পারেননি, না কি আগাগোড়া কাপুরুষ হয়েই থাকলেন। একটা বাইক জমে থাকা জলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে চলে যেতেই কিছুটা জল ছিটকে এসে লাগে দেবাশীষের গায়ে। ফিরে আসতে হয় চন্দননগরের বর্ষায়। চারদিকে তাকালেন। অনেকক্ষণ ধরেই একটা পুরানো বাড়ির রোয়াকে আশ্রয় নিয়েছেন। ছুটির দিন বলে কয়েকটা জিনিস কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কেন যে ছাতাটা আনলেন না! একনাগাড়ে পড়েই চলেছে বৃষ্টি। আশেপাশে দু’-একজন যারা অপেক্ষা করছিল, বৃষ্টির থামার নাম নেই দেখে চলে গেছে। এইটুকু তো সামান্য বৃষ্টি। তাকেও যে কেন এত ভয়! বর্ষাকে ভালবাসেন, অথচ তাতে ভিজে উত্তাল হতে পারেন না। খুব সুন্দর দেখতে একটি মেয়ে বৃষ্টিতে হাপসুটি ভিজতে ভিজতে সামনে দিয়ে চলে গেল। দেবাশীষ মেয়েটির দিকে তাকাতেই এক মোহময়ী দৃষ্টি ছুঁড়ে দিল মেয়েটি। চোখ সরিয়ে নিলেন না। বর্ষা চোখ মেলে তাকে দেখতে সাহায্য করল। জীবনের দিকে এরকম চোখ তুলে তাকিয়ে বাঁচা যায় না? ভাবছিলেন দেবাশীষ।
কাল ফোন করেছিল তমালী। কোর্টে আগেও একদিন গিয়েছিলেন। সেদিন ভয়ানক গলা কাঁপছিল। আবার ডেট পড়েছে। সামান্য সত্যিটুকু যা দেখেছেন, তা বলতেও যে কেন দ্বিধা! সত্যকে অস্বীকার করার জন্যই কি সুমনাকে হারাতে হয়েছিল। হঠাৎই চোয়াল শক্ত হয়ে আসে দেবাশীষের। একবুক বাতাস নিয়ে বৃষ্টিভেজা পথে নামেন।

– কী রে, তুই কোথা থেকে!
মুচকি হাসল দাদা। তমালীর মাথায় একটা হালকা চাপড় মেরে বলল, কোথা থেকে মানে! তোর কি মনে হয় আমি কোথাও চলে গেছিলাম? তোরা সব এমন করছিস!
হাঁ–করে তমালী তাকিয়েছিল দাদার দিকে। খুব সুন্দর লাগছে। সাদা পাজামা, পাঞ্জাবি। এইমাত্র চান করে আসা স্নিগ্ধ শরীর। বিন্দু বিন্দু ছড়িয়ে থাকা পবিত্র ওম। মানুষের শরীরে যেন দেবতা।
তমালী বলল, আমরা সবাই তোকে কী খোঁজাই না খুঁজেছি। কেউ তোর কোনও খোঁজ দিতে পারছিল না। কী যে চিন্তা হচ্ছিল! – সবাই খুঁজছিল, না তুই খুঁজছিলিস? – সবাই খুঁজছিল। আমি একটু বেশি খুঁজছিলাম। দাদা হাসছে। সারা শরীর জুড়ে আলো। সে আলো এত ঠিকরে বেরচ্ছে যে, তাকানোই যাচ্ছে না। আলোর আড়ালে এখন দাদাকে একটা ছায়া মনে হচ্ছে। আলোর তেজ বেরচ্ছে। একবার মনে হল, এবার বোধহয় সারা গা-টা পুড়ে যাবে। তবুও তমালী আলোটার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। তারপরই কিসে যেন একটা হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল। ধড়মড়িয়ে বিছানায় উঠে বসল তমালী। গলাটা শুকিয়ে কাঠ। পাশ থেকে বোন কখন উঠে গেছে। ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে পৌনে আটটা। কাল রাতে অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টি পড়ছিল। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিল বলে মাঝরাতে উঠে জানালাটা বন্ধও করে দিয়েছিল। উজ্জ্বল রোদ্দুর বিছানায় আর ঘরের মেঝেতে আছড়ে পড়ছে।
মাকে বেরোতে হবে সাড়ে ন’টা নাগাদ। তমালীর আজ ডে শিফ্‌ট। একটু বেলা করে বেরোলে হবে। ও ঘুমোচ্ছে দেখে নিশ্চয়ই রানা-বান্নার কাজগুলো

একা হাতে করছে। তাড়াতাড়ি উঠে বাথরুমে ঢুকল। রান্নাঘরে ঢুকতেই বোঝা যাচ্ছিল, রান্নার কাজ অনেকটাই এগিয়ে ফেলেছে মা। রান্নার কাজ ছেড়ে দিয়ে মায়ের সরকারি চাকরির বয়স হয়ে গেল প্রায় একমাস সরকারের দেওয়া। কিছু কিছু মৃত্যু কি মানুষকে সুযোগ-সুবিধা এনে দেয়। ভাল করে ভেবে দেখলে দাদা মারা যাওয়ার পর সংসারটা অনেক ভালভাবে চলছে। সেদিন সমীর খুব ভাল বলছিল। ওর বাবার রোগের পেছনে নাকি অনেক টাকা খরচ হচ্ছিল। অটৌ চালালেও ছেলেটা কথা বলে দারুণ। বলেছিল, একটা মানুষের প্রাণ নাকি অনেকগুলো মানুষের জীবনের সমান হতে পারে। শোনার পর বেশ কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে যেতে হয়েছিল। আসলে বলার মতো কোনও উত্তরই ছিল না।
ভাতের ফ্যান গালছে মা। রাতে কখন-সখনও চাপা কান্নার শব্দ পাওয়া যায়। বেশ সহজেই বোঝা যায় কান্নাটা কার। এই কয়েক মাসে কথাবার্তার পরিমাণ পরিবারের লোকের সাথে কেমন করে যেন কমে গেছে। খুব জরুরি দরকার ছাড়া তাগিদও থাকে না।
নিজের চুলটা খোপা করে বেঁধে নিয়ে তমালী মা’কে উদ্দেশ্য করে বলল, আমাকে দাও, আমি করে দিচ্ছি। মুখ তুলল না মা। শুধু বলল, সব হয়েই গেছে। তুই আর টুম্পা বরং জলখাবারটা খেয়ে নে।
মা জানে না, ও-ও বলেনি। সকালে বাড়ি থাকলে জলখাবার আজকাল খায় না। খেতে ইচ্ছে করে না। কিছু বলল না। মা রেগে যেতে পারে। অল্পেতেই রেগে যাচ্ছে এখন। বেশ কয়েকবার বলেছে, দাদার ব্যাপারটা নিয়ে আর না এগোতে। ও একটা মেয়ে। মেয়ে মানেই এইসব ব্যাপার ঘিরে ভবিষ্যতে হাজার একটা সমস্যা। যে যাবার সে তো চলেই গেল। মাকে বোঝাতে হয়েছে, এই ধরনের পুলিশ কেসে সরকার নিজে থেকেই আসামীর বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়। তাতে বাড়ির লোকের

খুব একটা কিছু করার থাকে না। সন্তানের চলে যাওয়াটা একজন মা কি আদৌ সহজে নিতে পারে! মনে এখন অনেকরকম চিন্তা-ভাবনা খেলা করে। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেছিল মা, আবার ফিরে এল। চোখ তুলে সহজ গলায় জিজ্ঞাসা করল তমালী, কিছু বলবে? – না, ক’দিন ধরে একটা কথা বলব-বলব ভাবছিলাম। তুই বলছিলিস না, আরেকটা উকিলের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। পাবলিক প্রসিকিউটরের পাশাপাশি আরেকজন ল-ইয়ারকে দাঁড় করাতে গেলে কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটকে বেশ কিছুদিন আগে একটা পিটিশন্‌ জমা দিতে হয়। আইনের ভাষায়, একে ডিফ্যাক্টো কমপ্লেনকে আরও শক্তিশালী করা বলে। কোর্টে একজনের থেকে ব্যাপারটা বুঝে নিয়েছে। মুখে শুধু বলল, হ্যাঁ। মিনিট দু’য়েকের মধ্যে মা আবার শোবার ঘর থেকে ফিরে এসে ওর হাত একটা প্যাকেট তুলে দিল। বলল, কিছু টাকার ব্যবস্থা করেছি। ব্যাপারটা তুই কিছুতেই ছেড়ে দিস না।
মায়ের মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইল তমালী….।

(ক্রমশঃ)