খেলার ছলে শিশুদের যীশু পুজো, আট বছর ধরে মন্দিরের পাশে পালিত হয় বড়দিনের উৎসব।

0
701

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- ধর্ম বোঝেন বড়রা, আর তাকে কাজে লাগিয়ে নানান স্বার্থসিদ্ধি করে থাকেন রাজনৈতিক মদতপুষ্ট কিছু মানুষ। আর তার ফলেই ইদানিং আমাদের ওদের ধর্ম আলাদা বুঝতে শিখেছে সাধারণ মানুষ। ধর্ম বিভাজন মানুষের হানাহানি ,কিন্তু শিশুরা? তাদের নিষ্পাপ মনে খ্রিস্টান সম্প্রদায় ভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও স্বরসতী দুর্গা কালী বা অন্যান্য পুজোর মতনই সমান আনন্দের যিশুখ্রিস্টের পুজো। তাই নিজেদের বাড়িতে থাকা, সান্তা ক্লজ দের পাড়ার মন্দিরের পাশে মায়ের শাড়ি দিয়েই প্যান্ডেল করে রীতিমতো ধুপ মোমবাতি জ্বালিয়ে বিগত 8 বছর ধরে পুজো করে আসছে তাদের প্রিয় সান্টার।শুধু কি পুজো? রীতিমতো প্রসাদ হিসেবে পথচলতি দের কেক বন্টন। সন্ধ্যায় রংবেরঙের লাইট জ্বালিয়ে আবৃতি কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে পালিত হবে আজকের এই বিশেষ দিনটি। তবে কচিকাঁচারা জানায়, গতকাল রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর সান্টার উপহার পেয়ে তারা বেজায় খুশি। সকালে উপহার পেয়ে প্রণাম করে শান্তাকে আগামী বছর প্রিয় উপহার আনার সাথে বিদ্যালয় খোলার অনুরোধও জানিয়েছে। হয়তো এই চিত্রটা শুধু শান্তিপুরের নয়, সারাবাংলার কারণ এখানেই একমাত্র সর্বধর্ম পালন করার স্বাধীনতা আছে। শিশুরাও খেলার ছলে আপন করে নেয় তাদের প্রিয় সান্টাকে। তবে ছোটদের এই অগাধ বিশ্বাস ভালোবাসাতে, বড়দের ডেঁপোমী
নিষ্প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সচেতন অভিভাবকরা।