আশ্রমের আবাসিকদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব প্রচেষ্টা।

0
391

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:– পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের পাঁউশি অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমে রবিবার উদ্বোধন হয় পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী প্রস্তুতির শিক্ষণ কেন্দ্র,যার নাম দেওয়া হয়েছে “নীলাংশু সাহা জুটমেড প্রডাক্ট ট্রেনিং সেন্টার”।জানা গিয়েছে কলকাতার বাসিন্দা তথা ডিআইজি কারা নবীন কুমার সাহা ও শিক্ষীকা অদিতি রায় অনেক দিন ধরে সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি আশ্রমের সাথে যুক্ত। তাঁদের একমাত্র ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, সেক্ষেত্রেই ওই দম্পতি ছেলের নামে নাম করন করে জুটমিট ট্রেনিং সেন্টারের। আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী বলরাম করণের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা আশ্রমের ছেলে মেয়েদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য তিনটি পাটজাত পণ্য সেলাই মেশিন, কাটিং মেশিন,স্ক্রিণ প্রিন্টিং টেবিল ও পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল দেন। অমৃত অধিকারী এই বিষয়ে একজন খুব অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ,রে কারনে গিণিশ বুকেও নাম রয়েছে তাঁর। তিনি আবাসিকদের যাবতীয় পণ্য প্রস্তুতি হাতে শেখাবেন। পাটের তৈরি নানান ধরনের ব্যাগ, মানিপাশ, স্কুল ব্যাগ, টেবিল ক্লথ, মূর্তি সহ একাধিক পাটজাত দ্রব্য কি ভাবে তৈরি হয়, তা হাতেই প্রশিক্ষণ দেবেন উপযুক্ত প্রশিক্ষকেরা। বলরাম বাবুর উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমে উদ্বোধন হল সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। আশা করা হচ্ছে আবাসিকরা এই প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। ডিআইজি কারা নবীন কুমার সাহা বলেন প্লাস্টিকের প্রচলন এখনো রয়েছে বহু জায়গায় সে ক্ষেত্রে আমরা জুটির মধ্য দিয়ে জুটের তৈরীর নানান সামগ্রিক যাতে ব্যবহার করা যায় সে দিকে আমাদের নজর দিয়েছি। তাই প্লাস্টিক বর্জন করার লক্ষ্যে জুটের ব্যবহার সর্বত্রই যাতে হয় সে ক্ষেত্রে ভগবানপুর এর পাঁউশি অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে তাদের জুটের তৈরি নানা সামগ্রী শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা জুট সামগ্রী আসাম মালিকের হাতে তুলে দিয়েছি। তা দিয়েই তৈরি হবে নানান সামগ্রী।