শীতলকুচি কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ক্যাপাবিলিটি টেস্ট করা হলো মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে।

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ গত ২১ শে ডিসেম্বর শীতলকুচি কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে নেওয়া ৩ অভিযুক্তের মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলো মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে। ডাক্তারী পরীক্ষায় তারা ধর্ষণের সক্ষম বলে প্রমাণ মিলেছে বলে জানান মাথাভাঙ্গার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল।
প্রসঙ্গত, গত ২১ শে ডিসেম্বর কলেজ যাওয়ার সময় শীতলখুচি কলেজের এক ছাত্রীকে দুই যুবক গাড়িতে তুলে নিয়ে কলেজে না গিয়ে বামনঢোকা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রাসেল মিয়া নামে এক যুবক আগে থেকে ছিল। রাসেল মিয়া একটি ফাঁকা বাড়িতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর তাকে গর্ভ নিরোধক ঔষধ খাওয়ানো হয় জোর করে। ঘটনার দু’দিন পর মূল অভিযুক্ত জমির মিয়াকে শীতলকুচি থানার পুলিশ গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতারি এড়াতে বাকি অভিযুক্তরা পালিয়ে ছিল। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শীতলখুচি কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা এর পক্ষ থেকে মোট ১২ টি স্মারকলিপি জমা পড়ে শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর কাছে। তাছাড়া মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ ভার্মার নিকট কয়েকটি স্মারকলিপি জমা পড়ে।
অবশেষে গত ২৭ শে ডিসেম্বর শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিলিগুড়ি থেকে বাকি দুই অভিযুক্ত রাসেল ও ফিরোজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। শীতলকুচি কলেজ ছাত্রীকে কলেজ যাওয়ার সময় তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত জমির মিয়া রাসেল মিয়া ও ফিরোজ মিয়া কে গত ২৮শে ডিসেম্বর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল মাথাভাঙার এসিজেএম আদালত। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীনই অভিযুক্তদের মাথাভাঙ্গা মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে এসে তাদের ক্যাপাবিলিটি পরীক্ষা করা হয়।
এবিষয়ে মাথাভাঙা মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মণ্ডল বলেন, “আমরা যেটা সন্দেহ করেছিলাম সেটাই হয়েছে, অর্থাৎ অভিযুক্তদের ক্যাপাবিলিটি পরীক্ষায় তারা ধর্ষণের সক্ষম বলে প্রমাণ মিলেছে। এখন দেখার বিষয় তাদের কি সাজা হয়।” তবে পুলিশ এই ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ধরতে এবং যাবতীয় তদন্তে যথেষ্ট সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে। এখন এই ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কি ভূমিকা নেয় সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *