দুই হাতে সাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে ৩৩ টি রাজ্যের ২২ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে গিনেস বুকে নাম তুলল সবংয়ের দেবেন্দ্র বেরা।

0
1037

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- মানুষের অদম্য ইচ্ছা থাকলে কি না করা যায়। চেন নেই, ব্রেক নেই, নেই কোনও সিটও।আর এই অবস্থায় গত ২০১৮ সালের ১৭’ই জুন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা হরিমতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দেশের ৩৩টি রাজ্যের ২২ হাজার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে গিনেস বুকে নাম নথিভুক্ত করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর দেবেন্দ্র বেরা।স্বভাবতই খুশি জেলাবাসী সঙ্গে সবং বাসীও ।এই কাজ প্রথম শুরু করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তারপর থেকে প্রায় ২৪ বছর কেটে গেছে । পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময়ই সাইকেল শিক্ষায় হাতেখড়ি সবং ব্লকের সার্তা পঞ্চায়েতের সাতসাঁই গ্রামের বাসিন্দা দেবেন্দ্র বাবুর। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দা মহম্মদ নজরুল ইসলামের ব্রেক-চেনহীন সাইকেল নিয়ে নানা কলা কৌশল আকৃষ্ট করে তাঁকে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন নিজেই সাইকেলের ব্রেক, চেন, সিট, ফ্রি-গিয়ার খুলে ফেলেন দেবেন্দ্রবাবু। তারপরে শুরু কৌশল রপ্ত করা। সেই শুরু। তারপর থেকে দিনে দিনে তিনি সিট, ব্রেক, চেনহীন সাইকেলের হাতলে ভর দিয়ে এগিয়ে চলার কৌশল রপ্ত করে ফেলেন।শুধু সাইকেল নয়, চুলে দড়ি বেঁধে যাত্রীবোঝাই বাস টানা, বুকের ওপর দিয়ে গাড়ি পার করা-সহ নানা কৌশল দেখিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সাইকেল সফর শুরু ১৯৯০ সালে। সেবার ক্ষুদিরামের জন্মশতবর্ষে সাক্ষরতার বার্তা নিয়ে অবিভক্ত মেদিনীপুর পরিভ্রমণ করেন। একই বার্তা নিয়ে ১৯৯২ সালে রাজ্যের ১৭টি জেলা সফর করেন। ১৯৯৪ সালে শেষবার ভারত সফরে বেরিয়ে জাতীয় সংহতির বার্তা নিয়ে ছ’মাস ধরে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার সফর করেন। লক্ষ্য একটাই সেটা গ্রিনেস বুকে নাম তোলা।কিন্তু সেবারেও অধরাই থেকে গেছে তাঁর ইচ্ছে।তবে তিনি ভেঙে পড়েননি লক্ষ্যে অবিচল থেকে আবার লক্ষ্যপূরণে
২০১৮ সালের ১৭’ই জুন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা হরিমতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দেশের ৩৩টি রাজ্যের ২২ হাজার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে গিনেস বুকে নাম নথিভুক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি লিমকা বুক অফ ইন্ডিয়ায় নিজের নাম তোলাও তাঁর লক্ষ্য রয়েছে তার।
দেবেন্দ্র বাবুর গিনেস বুকে নিজের নাম তুলতে পারায় উৎসাহী তার পরিবার সঙ্গে সবং’বাসীও।