কোচবিহারে কাজ হারিয়ে টানা আন্দোলনে এফসিআই কর্মীরা, সমস্যা মেটানোর দাবিতে স্মারকলিপি তৃণমূলের।

0
297

মনিরুল হক, কোচবিহার: এফসিআইয়ের গুদামে অস্থায়ী কর্মী ছাটাই নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থতি নিরসনে এবার কোচবিহার সদর মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল পরিচালিত রেলওয়ে লেবার কনট্রাক্টর ইউনিয়ন সংগঠন। আজ ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমানের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানানো হয়। এদিন এই স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন নিউ কোচবিহার রেলওয়ে লেবার কনট্রাক্টর ইউনিয়ন সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেনারেল সেক্রেটারি কমল দে সহ অন্যান্যরা।
এক সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে কাজ হারিয়ে কোচবিহার বাবুরহাট এলাকার একটি এফসিআই গুদামের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে ৪৮ জন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। ফলে এফসিআইয়ের ওই গুদাম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনে পণ্য নিয়ে আসা রেলের র্যা ক খালি করার কাজও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ওই কাজের সাথে যুক্ত শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পরে। একই ভাবে পণ্যবাহি ট্রাক গুলো কাজ হারানোয় তার সাথে যুক্ত শ্রমিকদেরও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনের রেল লেবার কনট্রাক্টর ইউনিয়ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
নিউ কোচবিহার রেলওয়ে লেবার কনট্রাক্টর ইউনিয়ন সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “এসসিআই তাঁদের বাবুরহাট গোডাউনের জন্য যাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছিল। তাঁদের সরিয়ে দিয়ে অন্য একটি সংস্থাকে নিরাপত্তার নিয়োগ করে। এর ফলে আগে যে সংস্থায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন, সেই কর্মীদের কাজ চলে যায়। ওই কর্মীদের আন্দোলনের জেরে গুদাম বন্ধ হয়ে রয়েছে। সেই কারণে রেলের র্যা ক খালি করার কাজ ব্যহত হচ্ছে। এতে সেখানকার শ্রমিক, ট্রাক শ্রমিক সকলেই কাজ হারিয়েছে। এই অবস্থা দীর্ঘ সময় চলতে পারে না। এর একটা নিরসন হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসন যাতে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার আবেদন জানিয়ে কোচবিহার সদর মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হল।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি থেকে এফসিআই গোডাউনের সামনে সেখানে কর্তব্যরত প্রায় ৪৮ জন শ্রমিক তাদের বকেয়া বেতন সহ কর্মী ছাটাইের প্রতিবাদে বিক্ষোভে বসে। কোন রকম কোন আগাম সূচনা না দিয়ে ওই গোডাউনের নিরাপত্তার কাজে যোগ দিতে গেলে গোডাউন কর্তৃপক্ষ ওই সুরক্ষা কর্মীদের আর কাজে আসতে হবে না বলে জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ওই নিরাপত্তার কাজে অবসর প্রাপ্ত জওয়ানদের নিয়োগ করার নতুন নির্দেশিকা এসেছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই কর্মরত সুরক্ষা কর্মীরা এফসিআই কর্তৃপক্ষের সামনে ক্ষোভে ফেটে পরেন, অনেক কর্মীকে কান্নাকাটিও করতে দেখা যায়। তারপর থেকেই তাঁরা গোডাউনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন।