তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানা থেকে উদ্ধার ২ কিশোরী,গ্রেফতার ২।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দুটি পৃথক ঘটনায় তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানা থেকে দুই কিশোরী কে উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই যুবককে। ধৃতদের জেরা করে আরো তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

প্রত্যন্ত সুন্দরবনের কোষ্টাল থানার অন্তর্গত এক নাবালিকা গত ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায়।পরিবারের লোকজন বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সুন্দরবন কোষ্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে নাবালিকা মেয়ে টি তামিলনাড়ু তে রয়েছে। এরপর খোঁজখবর করে সুন্দরবন কোষ্টাল থানার এসআই রনি সরকার ও এক মহিলা কনষ্টেবল তামিলনাড়ুর উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে বিশেষ ভাবে খোঁজ খবর করে তামিলনাড়ুর ত্রিপুর জেলার পেরুমানল্লুর নামক এক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেন ওই নাবালিকাকে। পাশাপাশি শুভজিৎ বাউলিয়া নামে এক যুবক কে গ্রেফতার ও করে।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা যুবক শুভজিৎ বাউলিয়া ওই নাবালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। এরপর ওই নাবালিকা কে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে তাকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে তামিলনাড়ু চলে গিয়েছিল।

অন্যদিকে গত ১৮ জানুয়ারী জীবনতলা থানার তাম্বুলদহ পঞ্চায়েতের উত্তর মৌখালী গ্রামের এক নাবালিকার বাবা থানায় অভিযোগ করেন তার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে গিয়েছে এক যুবক। নাবালিকাকে ফুঁঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আলিনুর মিদ্দে নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান জীবনতলা থানা তে।পুলিশি তদন্ত চলাকালী ওই কিশোর একবার ফোন করে পুলিশের কাছে। সেখান অপহৃত কিশোরী জানায় তাকে আলিনুর মিদ্দে তাকে তেলেঙ্গানার বোল্লারাম থানা এলাকায় একটি বস্তিতে লুকিয়ে রেখেছে।সেই সুত্র ধরে পুলিশ মুক্তি ফাউন্ডেশন নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই নাবালিকা কে উদ্ধার করে।সেখান থেকে অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে পুলিশ।তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তেলেঙ্গানা রাজ্যের আদালত ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছে। এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের কে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।জানা গিয়েছে ক্যানিংয়ের তালদি স্টেশন থেকে অভিযুক্ত আলিনুর মিদ্দে ই কিশোরী কে জোর করে শিয়ালদহ স্টেশন হয়ে তেলেঙ্গানায় নিয়ে আসে। অন্যদিকে ওই নাবালিকাদের কে পাঠানো হয়েছে হোমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *