সব খবর এর খবরের জেরে দুরারোগ্য আক্রান্ত শ্রাবণী রুইদাস এর পাশে আরামবাগের সমাজসেবী সৈয়দ জিয়াজুর রহমান।

0
343

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সম্পূর্ণ নিঃস্ব পরিবারে দুরারোগ্য আক্রান্ত 12 বছরের শ্রাবণী রুইদাস। শ্রাবনীর বাবা-মা বাসু রুইদাস ও কাকুলি রুইদাস নিজেদের বলে যেটুকু ছিল সমস্তটাই দুরারোগ্য আক্রান্ত মেয়েকে সুস্থ্য করতে খরচ করেছেন , ছুটেছেন বহু ডাক্তারের কাছে কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠেনি, বরঞ্চ অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হয়েছে। বাবা মায়ের চোখের সামনে মেয়ে একটু একটু করে হারাচ্ছে জীবনীশক্তি। বুক ফাটছে বাবা-মার, চোখের জলে দিন কাটছে কিন্তু তারা যে অসহায়। মেয়েকে সুস্থ করতে গেলে চাই প্রচুর অর্থের, সেই ক্ষমতা নেই তাদের ।
এরকম দুর্বিষহ সময়ে সাংবাদিক আবদুল হাইয়ের ক্যামেরায় উঠে আসে ওই দুরারোগ্য আক্রান্ত শ্রাবণী দাস এবং ঐ অসহায় পরিবারের চিত্র।সব খবর সহ অন্যান্য নিউজ চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয় এবং তারপরেই নজরে আসে আরামবাগের সমাজসেবী সৈয়দ জিজাজুর রহমানের। তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ওই পরিবারটির দিকে।
জিয়াজুর বাবু আজ অসহায় পরিবারটির পাশে পৌঁছান এবং পরিবারের প্রধান শ্রাবনীর বাবা বাসু রুইদাস এর হাতে মেয়ের চিকিৎসার জন্য কুড়ি হাজার টাকা তুলে দেন এবং তিনি আগামী দিনে অসুস্থ মেয়েটির পাশে দাঁড়াবেন বলেও জানান। এছাড়াও এদিন কোতুলপুরের সমাজসেবী ফিরোজ মোল্লা অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান।
এই সমাজ-সংসারের আজও কিছু মানুষ সত্যিই আছেন যাদের জন্যই হয়তো পৃথিবীর বুকে আজও চন্দ্র সূর্য উঠে নিয়ম করে।
ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করি জিয়াজুর বাবু ও ফিরোজ মোল্লা ।আর আপনারা প্রার্থনা করুন যেন শ্রাবণী রুইদাস আগামী দিনে আর দশটা মানুষের মতোই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আসুন না আমরা সবাই এই অসহায় পরিবারের দুরারোগ্য শ্রাবণী রুইদাস এর পাশে দাঁড়ায়।