পঞ্চায়েত সদস্যের উদ্যোগে চড়ুইভাতি।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – কখনও বৃষ্টি কখনওবা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন আকাশ। শীত বিদায় নিতে শুরু করেছে। শীতে এই বিদায় প্রাক্কালে ক্যানিংয়ের মাতলা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর উদ্যোগে এক চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত হল বুধবার।নিজের পরিবার কে নিয়ে চড়ুইভাতি নয়।নিজের গামসভা ৪ ও ৫ নম্বর বাজার এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার কে নিয়ে চড়ুইভাতি তে মেতে উঠলেন পঞ্চায়েত সদস্য।
ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর তীরবর্তী সংলগ্ন চাঁদমুনি দাস বৃদ্ধা ও অনাথ আশ্রমের নিকট সুন্দরবন পরিবেশে আয়োজন হয়েছিল এই অভিনব চড়ুইভাতি।সকালের ঝলমলে রোদ উঠতেই একে একে গ্রামবাসীরা চড়ুইভাতিতে যোগদান করার জন্য আসতে থাকেন।দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের গ্রামসভার সাধারণ বাসিন্দাদের সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে তাদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ অধিকারী।
শুরুতেই টিফিনের আয়োজন ছিল ব্যাপক।চা,কফি,রাধাবলল্লভী সহযোগে জয়নগরের মোয়া।এরপর গ্রামবাসীরা নাচ,গান,নৌবিহারে মেতে ওঠেন।শেষে শুরু হয় মধ্যাহ্ন ভোজ।মধ্যাহ্ন ভোজের তালিকাও ছিল বেশ চমকপ্রদ। বিরিয়ানী,তিন চার রকমের ভাজা মাছ,চিকেন কষা,চাটনি,পাঁপড়,আইসক্রীম ও মিষ্টি।
কেন এমন উদ্যোগ প্রশ্নের উত্তরে পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন ‘নির্বাচনে কে আমাকে ভোট দিলো আর কে দিলো না সেটা বড় কথা নয়। আমি যখন জিতেছি তখনই আমার গ্রামসভার প্রতিটি মানুষের সদস্য। ফলে তাঁদের সুখ,দুঃখের সাথে আমি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।এছাড়া সকলের সাথে দেখা করে কথা বলার সুযোগ হয়ে ওঠেনা। যারজন্য প্রতিবছরই এমন চড়ুইভাতির আয়োজন করে আমার গ্রামসভার সমস্ত পরিবার কে আমন্ত্রণ জানাই। তাঁরাও আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আসেন। গল্পগুজব,আনন্দ করে দিনটা কাটাই। কারণ মানুষ মানুষের জন্য।’
অন্যদিকে পঞ্চায়েত সদস্যের গ্রামসভার বাসিন্দা প্রভাকর দাস,সুব্রত হালদার, বাপ্পা মজুমদার, উজ্জল দাস রা পঞ্চায়েত সদস্যের চড়ুইভাতিতে কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে আনন্দ উপভোগ করে জানিয়েছেন ‘আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যের কোন তুলনা হয় না। রাতদিন আমাদের জন্য ভাবেন। আর সেই কারণে এমন চড়ুইভাতির আয়োজন বছর বছর করে থাকেন। যা ক্যানিং তথা জেলায় বিরল’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *