হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বনকর্মীরা,২৪ ঘন্টার মধ্যে খাঁচাবন্দি কুলতলির বাঘ।

0
297

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বুধবার কুলতলি ব্লকে দেউলবাড়ি- দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটকুল চাঁদ ও সাবুর আলী কাটা এই দুই জায়গার মধ্যবর্তী ম্যানগ্রোভের বাদাবনের তার টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিল স্থানীয় মানুষজন। এরপর বনদপ্তরের রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত কুলতলি বিটের বনকর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ অনুসন্ধান করতেই তার সাক্ষাৎ মেলে। সেই কারণেই কোনরকম ভাবে ঝুঁকি নেয়নি বন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনদপ্তরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীর নির্দেশে বাঘটি যেখানে ঘাপটি মেরে ছিলো,সেই এলাকা সেখানে নাইলনের জালের সাথে স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।এদিন সন্ধ্যায় সেখানে পাতা হয় একটি লোহার খাঁচা,বাগে আনতে তার মধ্যে ছাগলের টোপ ও দেওয়া হয়। আর তাতেই বাজিমাত। ভোর ৩ টা নাগাদ সেই ছাগলের লোভেই বনদপ্তরের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বসে ধুর্ত বাঘ। তারপর কান ফাটা হুঙ্কারের আওয়াজ আসতেই বনকর্মীরা নিশ্চিত হয়। অবশেষে বাঘ বন্দি।এরপর দ্রুততার সাথে সেই খাঁচা সহ বাঘটিকে নিয়ে বনদপ্তরের বোটে চাপিয়ে রওনা দিয়ে দেওয়া হয় একেবারে সুন্দরবনের বনদপ্তরের বনি ক্যাম্প এর দিকে। মনে করা হচ্ছে যে আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকেই বাঘটি কোনভাবে বেরিয়ে চলে এসেছিল পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলী কাটা এলাকার দিকে। এদিকে বৃহস্পতিবার ধরা পড়া ওই বাঘের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে পশু চিকিৎসক দ্বারা। তারপর বনদপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ মাফিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকে দূরের জঙ্গলে তার নিজের পরিবেশে ফেরানো হবে কিনা।খাঁচায় ধরাপড়া বাঘটির বয়স আনুমানিক ৪/৫ হতে পারে।