নিজের পছন্দ করা ভালোবাসার বলি দিয়ে, একমাত্র সন্তান রেখে, ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুর হাত ধরে নতুন জীবন শুরু।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ ভ্যালেন্টাইনডে কিন্তু নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার এক ব্যক্তি জীবনে আজ নেমে আসলো ব্ল্যাক ডে। শান্তিপুর থানা এলাকার অপর একটি এলাকার দুই বোনের বিয়ে হয়েছিল একই বাড়িতে দুই ভাইয়ের সাথে। এক বোন সুখে স্বাচ্ছন্দে ঘর করলেও, ছোট বোন খুঁজে বেড়াতো রঙিন ভালোবাসার। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চারজনের কারণে স্বামী বোম্বেতে একটি হোটেলে কাজ করেন, মাঝেমধ্যেই বাড়ি ফেরেন। কিন্তু স্ত্রী ঠিক সেই সময়, তার বাপের বাড়ি চলে যেতেন। মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর মোবাইলে নানান রকম মেসেজ, এবং ফোনে ব্যস্ত থাকার কারণ খুঁজতে গিয়ে লক্ষ্য করেন, দক্ষিণ 24 পরগনা কুলটি থানার অন্তর্গত এক যুবকের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগের পর প্রণয় শুরু হয়েছে। বাপের বাড়ি অথবা শ্বশুরবাড়ি যেকোনো পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শাসন করলে আত্মহত্যার হুমকি দিতেন তিনি। আর সেই দুর্বলতাই সকলেই কিছু বলার সাহস পেতেন না। গতকাল রাতে তাদের মধ্যে আলোচনা সূত্রে পরিবার থেকে জানতে পেরেছেন আজ সকালে, ভ্যালেন্টাইনস ডে এই শুভক্ষনে নতুন ঘর বাঁধবেন তারা।
6 বছর আগে অবশ্য এই রকমই ভালোবাসার সপ্তাহে নিজেই পছন্দ করে, বেঁধেছিলেন এই ঘর। ঠিক 6 বছরের মাথায়, চার বছরের একমাত্র সন্তানকে ফেলে এ রকমই এক ভালোবাসার দিনে নতুন ভালোবাসার হাত ধরে চলে যেতে উদ্যত হন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী।
স্বামীর অপরিচিত বন্ধু এবং এলাকাবাসী শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশনে, তাদের পথ আটকান, স্বামীর দাবি পাকাপোক্তভাবে লিখিত করে, এবং সন্তানের অধিকার হারিয়ে তবেই যাওয়া সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে অবশ্য ট্রেন যাত্রী, পথচলতি সাধারণ মানুষ অনেকেই তাকে সাহায্য করে। ভিড় এবং সাধারণ মানুষের জমায়েতের ভয়ে তিনি তাই লিখে দেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুর হাত ধরে রওনা হন নতুন ভালবাসার ঘর বাঁধতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *