ছেলে,বৌ’মার  অত্যাচারের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে থানার দ্বারস্থ বৃদ্ধা।

0
544

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – দুই ছেলে আর বৌ’মার হাতে বেধড়ক মার খেয়ে প্রতিকার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হলেন এক বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধা।
ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার আন্ধারিয়া গ্রামে।বৃদ্ধা ইতিমধ্যে ক্যানিং থানায় দুই ছেলে ও ছোট ছেলের স্ত্রী’র নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সুত্র জানা গিয়েছে ক্যানিং থানার  তালদির চাঁদখালি এলাকার আন্ধারিয়া গ্রাম। সেখানেই বসবাস করেন পঁয়ষট্টি বছর বয়স্কা বৃদ্ধা মালতি সরদার।তাঁর স্বামী পেশায় মাছ ব্যবসায়ী দুখিরাম সরদার গত প্রায় তিন বছর আগে মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বৃদ্ধার তিন ছেলের পরিবার পৃথক হয়ে যায়।কোন ছেলে দেখভাল না করায় বৃদ্ধা একাই হাঁস-মুরগি চাষ করে দিন গুজরান করেন। অভিযোগ স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই মেজো ছেলে ও ছোট ছেলে ও ছোট ছেলের স্ত্রী প্রতিনিয়ত নানান অছিলা তাঁকে মারধর করে।

ধারাবাহিক ভাবে এমন চলছিল।ছেলেদের মুখের দিকে তাকিয়ে কাউকে কিছু বলতেন না ওই বৃদ্ধা।  সোমবার সকালে আবারও বৃদ্ধা মাকে মারধর করে মেজো ছেলে সুখদেব,ছোট ছেলে জয়দেব ও তার স্ত্রী মাম্পী সরদার’রা। সহ্যের মাত্রা অতিক্রম হয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। বৃদ্ধা মালতি দেবী কাঁদতে কাঁদতে সোজা ক্যানিং থানায় হাজীর হয়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলেন। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দুই ছেলেও বৌ’মার নামে।বৃদ্ধার অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বৃদ্ধা মালতি দেবী জানিয়েছেন ‘যাদের দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যাদের বড় করেছি তারাই আজ অত্যচার করছে। সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হই। ওদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই ছেলে ও বৌমা বাড়িতে না থাকায় তাদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।