একালের কবিকণ্ঠ ও ধান দূর্বা পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে শান্তিপুর কলেজের সহযোগিতায় কবিতা উৎসব ও আলোচনা চক্র।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শান্তিপুর কলেজের 26 শে মার্চ এবং আগামীকাল সাতাশে মার্চ দু’দিনব্যাপী কবিতা উৎসব ও আলোচনা চক্র শুরু হলো আজ । একালের কবিকণ্ঠ ও ধান দূর্বা পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষা ডঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের স্বাগত ভাষণ দিয়ে শুরু হওয়ার পর, গাছে জল দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। কবিতার জগতে চিরস্মরণীয় শান্তিপুরের 5 জন কবি কবির নামাঙ্কিত পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় 5 জন এ প্রজন্মের কবিদের হাতে। যার মধ্যে কবি কৃত্তিবাস ওঝা স্মৃতিফলক পান জহর সেন মজুমদার। কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মান তুলে দেওয়া হয় বিজয় সিংহর হাতে। কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত সম্মান পান প্রানেশ সরকার। কবি মোজাম্মেল হক স্মৃতি ফলক তুলে দেওয়া হয় মন্দিরা রায়ের হাতে। কবি ফল্গু বসু স্মৃতি ফলক তুলে দেওয়া হয় পঙ্কজ চক্রবর্তীর হাতে। এছাড়াও একালের কবিকন্ঠের পক্ষ থেকে দুজন কবিকে আজীবন কবিতা যাপন করার জন্য সম্মান জ্ঞাপন করা হয় যার মধ্যে বনগাঁর জলধি হালদার এবং অনু মাত্রিক পত্রিকার সম্পাদক দীপক রায়।
12 জন কবির স্বরচিত কবিতা পাঠ, এবং সেই সম্পর্কে মত বিনিময় থাকছে আজ। আগামীকাল 30 জন কবি তাদের সৃষ্টি প্রকাশিত করবেন সকলের মাঝে, ব্যাখ্যা করবেন সে প্রসঙ্গে।
শুধু শান্তিপুর কলেজ নয় রাজ্যের মধ্যে কোন কলেজে এই প্রথম একই ছত্রছায়ায় দু’দিনব্যাপী বিপুল সংখ্যক কবিদের সম্মান জ্ঞাপনের ব্যবস্থা এবং কলেজের দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কাব্যচর্চার আগ্রহ সৃষ্টি করা, এবং এ প্রজন্মের কবিদের তাদের নিজস্ব সৃষ্টি উপস্থাপিত করার করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে অভিমান্য পাল এবং অসীম সরকার।
তারা এও বলেন, শান্তিপুর কলেজের সমস্ত অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের স্বতস্ফূর্ত সহযোগিতা না পেলে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হতো না। অধ্যক্ষা ড: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কবিতা হল মানুষের মনের সুন্দর অনুভূতির ফসল, যা এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *